|
|
|
|
অসমে নিখোঁজ আড়াই হাজার শিশু, জানাল কমিশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
আড়াই বছরে অসম থেকে নিখোঁজ হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার শিশু-কিশোর-কিশোরী। পুলিশ এবং সিআইডি-র কাছ থেকে এমনই তথ্য পেয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। কমিশনের হিসেবে, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই মেয়ে। বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কিত কমিশন এবং ‘ইউনিসেফ’। শিশু নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের সব জেলার পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে দু’দিনের কর্মশালার আয়োজন করেছে ওই দু’টি সংস্থা।
কমিশন সূত্রের খবর, ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত অসম থেকে ৪২৩৪ জন শিশু হারিয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ২৮১৯ জন মেয়ে। ৪৭ শতাংশ শিশুকে উদ্ধার করা হয়। কমিশনের চেয়ারপার্সন রুনুমি গগৈ বলেন, “পাচার চক্রের কবলে পড়ে মেয়েরা যে ভাবে হারিয়ে যাচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। কয়েকটি চক্র ধরাও পড়েছে। সমস্যা মোকাবিলায় সকলকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।”
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, সন্ত্রাসের জেরে অনেক ক্ষেত্রে সন্তানকে ভিন্রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছেন মা-বাবাই। তার সুযোগ নিচ্ছে দালাল-চক্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুকে বাইরে পাঠানোর পর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকছে না। পুলিশের কাছেও বেশিরভাগ ঘটনা নথিভুক্ত করা
হচ্ছে না।
কমিশনের সদস্যদের বক্তব্য, পুলিশকে নিখোঁজদের উদ্ধারে আরও সচেষ্ট হতে হবে। সক্রিয় হতে হবে প্রশাসনকেও। অভিভাবকেরা যাতে সন্তানদের ভিন্রাজ্যে না-পাঠান, সে জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা রাজন মহান্তির কথায়, “বন্যা কবলিত এলাকা অথবা জঙ্গি-অধ্যুষিত গ্রামে সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাই তাদের বাইরে পাঠিয়ে দেন। সে সব অঞ্চলে দালাল-চক্রের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামে গ্রামে শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন করা উচিত। বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দালালরা তাদের দিল্লি, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, কেরলে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।”
সিআইডি অবশ্য দাবি করছে, পুলিশি পদক্ষেপে শিশু পাচার কমেছে। ২০১১ সালে রাজ্যে ২১২৫টি শিশু নিখোঁজের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১২ সালে তা কমে হয় ১৮৫২। চলতি বছর জুন পর্যন্ত নথিভুক্ত নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২৫৭। |
|
|
|
|
|