টুকরো খবর |
সনিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য মোদীর
সংবাদ সংস্থা • বেমতারা (ছত্তীসগঢ়) |
কংগ্রেসের প্রতীককে ‘রক্তাক্ত হাত’ বলার জেরে গত কালই নির্বাচন কমিশনের নোটিস পেয়েছেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। আর আজই ছত্তীসগঢ়ে প্রচারে গিয়ে সনিয়া গাঁধী ও রাহুলকে আক্রমণ করলেন তিনি। সনিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য করতেও ছাড়লেন না।
এ দিন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মোদী বলেন, “ম্যাডাম, আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন, তা হলে শাহজাদাকে দায়িত্ব নিতে বলুন। দেখা যাক উনি ছত্তীসগঢ়ে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের জোগান দিতে পারেন কি না।” চিকিৎসা করাতে বেশ কয়েক বার আমেরিকা ঘুরে এসেছেন সনিয়া। সংবাদমাধ্যমে এমনও শোনা গিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। যদিও এ নিয়ে কংগ্রেসের তরফে কখনও খোলসা করে জানানো হয়নি। নেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য করায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি-সরকার নিয়ে সনিয়া-রাহুল বলেছিলেন, কেন্দ্রের থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থসাহায্য নিচ্ছে তারা। কিন্তু রাজ্যের উন্নতি করছে না। এ দিন মোদী কৌশলে খুঁচিয়ে তোলেন সনিয়ার ইতালি-যোগও। বলেন, টাকাগুলো কি রাহুলের ‘মামা’ দিচ্ছেন? জবাব দিতে ছাড়েনি কংগ্রেসও। প্রবীণ নেতা জগদম্বিকা পাল বলেন, “মোদী যে এত গুজরাতের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন, সে টাকা কোথা থেকে আসে? ওর দাদু দেয়?”
|
জিরিবামে বন্ধ ডাকল ছাত্রজোট
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
কথা রাখেননি শিক্ষামন্ত্রী। তাই ১৫ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জিরিবাম মহকুমা বন্ধ ডাকল চার ছাত্র সংগঠনের জোট। সরকারকে দোষারোপ করে ছাত্রনেতারা বলেন, ২৫ অক্টোবর তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মণিপুরের শিক্ষামন্ত্রী এম ওকেন্দ্র। তিনি কথা দেন, জিরিবামের বিভিন্ন স্কুলের যে ২১ শিক্ষক সর্বশিক্ষা অভিযানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে কাজ করছেন, ১২ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের সবাইকে স্কুলে ফিরিয়ে আনা হবে। নইলে তাঁদের জায়গায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। জিরিবাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অভাব মেটাতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত হয়ে প্রথম দফায় আন্দোলন স্থগিত করেছিল অল মণিপুর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের জিরিবাম মহকুমা কমিটি। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। ছাত্রনেতাদের পরে আর কিছু জানাননি। প্রতিবাদে চার ছাত্র সংগঠন জোট বেঁধে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনের নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকাল বন্ধের ডাক দিয়েছে তারা। জিরিবাম-টুপুল রেললাইন এবং জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজও বন্ধ করা হবে বলে ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন।
|
খুলল লাইটহাউস
সংবাদ সংস্থা • চেন্নাই |
বাইশ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসান বৃহস্পতিবার সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিলেন চেন্নাই লাইটহাউস। মেরিনা সমুদ্রসৈকতের এই লাইটহাউসটি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম। নব্বইয়ের দশকে মূলত নিরাপত্তার কারণে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
|
অপহৃত ব্যবসায়ী
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত বাজারের মধ্যে থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করল বড়ো জঙ্গিরা। ঘটনাটি ঘটেছে কোকরাঝাড়ে। আজ সকালে সেরফাংগুড়ির রামফালবিল সাপ্তাহিক বাজার থেকে চাল কিনতে এসেছিলেন ব্যবসায়ী পাপন সাহা প্রামাণিক। তখনই বাইক-আরোহী দুই সশস্ত্র জঙ্গি তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁকে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যায়। পুলিশের সন্দেহ, এনডিএফবির সংবিজিৎ গোষ্ঠী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
|
দুষলেন স্পিকার |
রাজনৈতিক স্বাথের্ বার বার অসমকে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য করায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অসমের স্পিকার প্রণব গগৈ। আজ বিধানসভায় কৃষিমন্ত্রী নীলমণি সেনা ডেকার লেখা ‘দেশ বিভাজন, সিলেট সংঘাত আরু গোপীনাথ বরদলৈ’ বইয়ের উদ্ধোধনে প্রণববাবু মন্তব্য করেন, “পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের কেন্দ্র বারবার অসমে ঢুকিয়ে দিয়েছে। শরণার্থীদের পুনর্বাসন গোটা দেশের সমস্যা হলেও, অসমকেই বরাবর সেই বোঝা বইতে হয়েছে।” ডেকার বইতে দেখানো হয়েছে, তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈয়ের আপত্তি সত্ত্বেও সিলেট থেকে আসা হাজার-হাজার সরকারি কর্মীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। ফলে কেন্দ্রের দাবি মেটাতে অসম সরকারকে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি মানুষকে চাকরি দিতে হয়েছিল। তার জেরে স্থানীয় চাকুরি প্রার্থীদের সুযোগ শেষ হয়ে যায়।
|
টাটা কারখানায় বিস্ফোরণ, জখম ১১ |
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটে টাটা স্টিলের জামশেদপুর কারখানায়। কারখানার একটি গ্যাসহোল্ডারে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তার পরই সংলগ্ন গ্যাস পাইপলাইনে আগুন ধরে যায়। আহত হন ১১ জন। বাকি সব কর্মীকেই বার করে আনা হয়েছে। আহতদের কিছু সংস্থার নিজস্ব কর্মী এবং বাকিরা ঠিকা শ্রমিক। টাটা স্টিল জানিয়েছে, এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জামশেদপুরের পুলিশ সুপার কার্তিক এস জানান, স্প্লিন্টারের আঘাতেই আহত হন কর্মীরা, বিস্ফোরণ বা গ্যাস লিকের ফলে নয়। বিস্ফোরণ থেকে কারখানার একাংশে আগুন লাগলেও, তা নিয়ন্ত্রণে আনা এবং গ্যাস লিক বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থা। তবে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্যাসহোল্ডারটির ছাদ। গলে গিয়েছে রবার দিয়ে তৈরি অংশ। পুরো এলাকাটিই কারখানার অন্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন কারখানার বাকি অংশে কাজ হয়েছে বলে দাবি টাটা স্টিলের।
|
ধর্ষণের অভিযোগ সাংসদের বিরুদ্ধে |
পরিচারিকা খুন মামলায় নাম জড়ানোর পরে এ বার ধর্ষণের অভিযোগও উঠল বিএসপি সাংসদ ধনঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ৪২ বছরের এক মহিলা। তিনি রেলে কাজ করেন। ওই মহিলার বক্তব্য, ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। ধনঞ্জয় সিংহ তাঁকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। কাউকে কিছু বললে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে বলে হুমকিও দিয়েছিলেন। ডিসিপি অজয় কুমার জানিয়েছেন, “৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক প্ররোচনা) ধারায় ধনঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মহিলার বিবৃতি রেকর্ড করবেন এক জন ম্যাজিস্ট্রেট।” পরিচারিকা খুনে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন সাংসদ।
|
মিরওয়াইজ চান |
মাত্র কয়েক দিন আগেই নয়াদিল্লিতে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুকের। তার পরেই হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ভারত সরকারের সঙ্গেও তাদের কথা হতে পারে। কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে মিরওয়াইজ চান, ২০০৬ সালে বাজপেয়ী জমানার মতো আবার কথা শুরু হোক। তবে ধারণা করা হচ্ছে, হুরিয়তের মাধ্যমে এই আলোচনা চাইছে আসলে পাকিস্তানই। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ ধরনের কোনও আলোচনায় দিল্লি আগ্রহী নয়। মিরওয়াইজ বৃহস্পতিবার বলেন, “যদি বাজপেয়ী আমলের মতো আবহ তৈরি হয়, তা হলে ভারতের সঙ্গে ফের আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে হুরিয়ত কনফারেন্স বদ্ধপরিকর।”
|
দুই নাগা জঙ্গির গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহত চার |
দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুরের তামেংলং জেলার ভালোক গ্রাম। পুলিশ জানায়, গত দু’দিন ধরে এলাকা দখলের লড়াই নিয়ে এনএসসিএন (আইএম) ও জেলিয়াংগ্রং ইউনাইটেড ফ্রন্ট (জেডইউএফ)-এর মধ্যে কাজিয়া চলছে। গুলির লড়াইয়ের জেরে গ্রামবাসীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। ঘটনার জেরে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জঙ্গি হতাহত হয়েছে। এখন অবধি শণাক্ত হওয়া মৃতদেহগুলির মধ্যে জেডইউএফ-এর তিন জঙ্গি রয়েছে। জেডইউএফ-এর দাবি, এনএসসিএন প্রথমে তাদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। পাল্টা হানায় এক আইএম জঙ্গি নিহত ও চারজন আহত হয়েছে।
|
উদ্ধার অপহৃত কয়লা ব্যবসায়ী |
অপহৃত এক কয়লা ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে খবর, ১০ নভেম্বর দক্ষিণ গারো পাহাড়ের গাসুয়াপাড়া থেকে জানকিং মারাক নামে ওই কয়লা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিল জিএনএলএ জঙ্গিরা। গত কাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ গাসুয়াপাড়া ও বাংলাদেশের সীমান্তে হানা দিয়ে বিএসএফ ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। অন্ধকারের সুযোগে চার জঙ্গি বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। |
|