|
|
|
|
লরি ‘হাইজ্যাক’ করেও হল না শেষরক্ষা, ধৃত ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা |
একেবারে বিমান ছিনতাইয়ের কায়দায় রাতের অন্ধকারে চালক-সহ ‘হাইজ্যাক’ হল ময়দা-বোঝাই একটি লরি। এর পরে প্রায় পাঁচ-ছ’ঘণ্টা ধরে নানা ভাবে পালানোর চেষ্টা করেও শেষমেশ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে লরি-সহ ধরা পড়ে ছিনতাইকারী চার দুষ্কৃতী। লরিচালক অক্ষত। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই হওয়া ময়দার বস্তাগুলিও।
লরিচালক ধূপনারায়ণ রায়ের অভিযোগ, বুধবার রাতে খিদিরপুরের বাবুবাজারে ৫০ বস্তা ময়দা পৌঁছতে যাচ্ছিলেন তিনি। সাড়ে ১২টা নাগাদ চিড়িয়াখানার কাছে জিরাট সেতুর উপরে লরি দাঁড় করিয়ে খাওয়া সেরে জিরিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। আচমকা আওয়াজে ঘুম ভাঙতেই দেখেন, লরির কেবিনে চার অপরিচিত যুবক। তাদের মধ্যে এক জন তাঁর দিকে বন্দুক উঁচিয়ে রয়েছে। |
|
অঙ্কন: সুমন চৌধুরী। |
ধূপনারায়ণবাবুর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর থেকে ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের এক জন তাঁকে ধাক্কা মেরে চালকের আসন থেকে সরিয়ে লরি চালিয়ে নিয়ে যায় মুম্বই রোডের পাশে ধূলাগড়ে। সেখানে লরির পিছনে থাকা ময়দার বস্তাগুলি নামানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেন। তখন দুষ্কৃতীরা ঠিক করে, মেটিয়াবুরুজ-সন্তোষপুরে যাবে। সেই মতো লরি ফের রওনা দেয় খিদিরপুরের দিকে। এই গোটা সময়ে লরির কেবিনে এক জন তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে বসে ছিল।
বৃহস্পতিবার ভোরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে কলকাতায় ঢোকার সময়ে ওই লরিটিকে আটক করে কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ। ধূপনারায়ণবাবু জানান, ওই যুবকেরা তাঁর কাছে লরির কাগজপত্র চায় পুলিশকে দেখানোর জন্য। পুলিশ গাড়ি আটকেছে শুনেই ধূপনারায়ণবাবু চিৎকার করে পুলিশকর্মীদের সাহায্য চান। তখন ওই চার যুবক লরি থেকে নেমে পালাতে গেলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। লরির পিছনে থাকা বাকি দু’জন অবশ্য পালিয়ে যায়।
হেস্টিংস থানার পুলিশ জানায়, ধূপনারায়ণবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রঞ্জিত মাহাতো, তোবারক জমাদার, মহম্মদ ইক্রাম ও শেখর রায়। এদের মধ্যে রঞ্জিত দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা। বাকিদের বাড়ি একবালপুর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক, দু’টি ক্ষুর, ভোজালি ও ৬০০ টাকা মিলেছে। এদের আজ, শুক্রবার আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|