দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা দুবরাজপুরের ‘সমবায় চাষিমঙ্গল’ হিমঘরটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হল। রাজ্য সমবায় দফতরের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ১০ সদস্যসের একটি পরিচালন কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই হিমঘরের নামে একটি মোটা অঙ্কের টাকা অনুমোদিত হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “৫৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে।” জেলা সমবায় সমিতি সমুহের উপ-নিয়ামক দীপক ঘোষ বলেন, “৬ মাসের জন্য কমিটি গঠিত হয়েছে। এই সময় কাল শেষ হওয়ার আগেই এই কমিটির তত্ত্বাবোধানে বার্ষিক সাধারণসভা ডেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হবে।”
হিমঘরটির পরিকাঠামো ও যন্ত্রপাতি যথাযথ থাকলেও নানান জটিলতায় দীর্ঘদিন বন্ধ চাষিমঙ্গল সমবায় হিমঘরটি। হিমঘরটি খোলা থাকলে শুধু দুবরাজপুর ছাড়াও রাজনগর, খয়রাশোল, ইলামবাজার এমনকী লাগোয়া বর্ধমানের পান্ডবেশ্বর এলাকার চাষিরাও উপকৃত হতেন। স্থানীয় ও সমবায় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম সরকারের আমলে তৎকালীন সমবায় মন্ত্রী ও এলাকার ফব বিধায়ক ভক্তিভূষণ মণ্ডলের উদ্যোগে ১৯৭৯ সালে চালু হয় ৪ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন হিমঘরটি। প্রথম প্রথম এলাকায় যে পরিমাণ আলু চাষ হত, তা দিয়ে হিমঘরের চাহিদা পূরণ হত না। আলু আনতে হত নির্ধারিত এলাকার বাইরে থেকে। ১৯৯৫ সালে হিমঘরের তত্ত্বাবধানে থাকা সমবায় সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়ে হিমঘরটিকে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচারাল রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক’কে পাঁচ বছরের জন্য লিজ দেয়। পরে আরও দু’বছর লিজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সেই সময় ভালই চলত হিমঘরটি। কিন্তু ২০০২ সালের পর ওই ব্যাঙ্ক লিজের মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়নি এবং তখন থেকেই বন্ধ হিমঘরটি। দুবরাজপুরের ফব বিধায়ক তথা চাষিমঙ্গল সমবায় হিমঘরের প্রাক্তন সভাপতি বিজয় বাগদি বলেন, “তখন হিমঘর চালানোর মতো পর্যাপ্ত টাকা সমিতির হাতে ছিল না এবং লিজ বাবদ একটা মোটা অঙ্কের টাকা ওই ব্যাঙ্ক না দেওয়ায় চালানো যায়নি হিমঘরটিকে।” |