গ্রন্থাগারিক চেয়ে চিঠি মানকরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
গ্রন্থাগার আছে। গ্রন্থাগারিক নেই। সমস্যাটি বুদবুদের মানকরের টাউন লাইব্রেরির। আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় অন্য কোনও গ্রন্থাগার না থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠক-পাঠিকারা আসেন এই গ্রন্থাগারে। আসেন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরাও। কিন্তু কোনও পূর্ণ সময়ের গ্রন্থাগারিক না থাকার কারণে তাঁদের নিজেদেরই খুঁজে নিতে হয় বই। গ্রন্থাগার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল এই গ্রন্থাগারটি। ২০১১ সালে প্রধান গ্রন্থাগারিক অবসর নেন। তখন থেকেই এই পদটি শূন্য। মানকরের বাসিন্দা সুকুমার পাল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই সাহিত্য চর্চায় মানকর অঞ্চলের নাম রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই গ্রন্থাগারে পূর্ণ সময়ের গ্রন্থাগারিক না থাকায় আমাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে।” একই মত এলাকার বাসিন্দা তথা কবি আনন্দগোপাল গোস্বামীর। বর্তমানে এই গ্রন্থাগারে এক জন আংশিক সময়ের গ্রন্থাগারিক আছেন। তিনি মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার আসেন। বাকি দিনগুলিতে কোনও গ্রন্থাগারিক ছাড়াই চলে গ্রন্থাগারটি। পাঠকেরা সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিমকে। গ্রন্থাগারটির বর্তমান প্রশাসক তথা তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য পরেশচন্দ্র পাল সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “সমস্যার বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে কোনও গ্রন্থাগারিক নিয়োগ না হওয়ায় এখানেও পূর্ণ সময়ের গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করা যায়নি।”
|
আসবাব নিয়ে পালানোর ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
গয়না, ফ্রিজ-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম সীমা দাস প্রামাণিক। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ডালের খান্দরার বাসিন্দা দেবদাস মালাকার অভিযোগে করেন, সীমার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। পরে তিনি জানতে পারেন, সীমাদেবীর আগে বিয়ে হয়েছে। সেই স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তাঁর একটি ৭ বছরের ছেলেও রয়েছে। অভিযোগ, দেবদাসবাবুর অনুপস্থিতিতে গয়না, ফ্রিজ-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর চম্পট দেন সীমাদেবী। বুধবার রাতে পুলিশ তাঁকে ধরে।
|
অটোর দৌরাত্ম্য, বন্ধ মিনিবাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বেআইনি অটোর রমরমায় যাত্রী কমে যাচ্ছে মিনিবাসের, এমন অভিযোগ এনে বরাকর থেকে ডিসেরগড় পর্যন্ত মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাস মালিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই রাস্তায় কয়েকশো বেআইনি অটো-রিকশা চলাচল করছে। চালকদের কাছে নেই অটো পরিবহণের বৈধ অনুমতি। প্রতিদিন সকালে অটোগুলি ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে বরাকর চলে আসছে এবং ডিসেরগড় পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ করছে। বাসমালিকদের আরও অভিযোগ, বেআইনি অটোর দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে গিয়ে তাঁরা অটোচালকদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় জানান, এই সমস্যার কথা আসানসোল মহকুমাশাসককেও জানানো হয়েছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস চালানো হবে না। মহকুমাশাসক অমিতাভ দাসের আশ্বাস, দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
|
অটো রাখা নিয়ে অশান্তি, অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে অটো চালকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে মিনিবাস আটকে যাওয়ার অভিযোগ উঠল বৃহস্পতিবার। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই ডিএসপি হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুল্যান্স রাখার জায়গায় অটো রাখা হয় বলে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের অভিযোগ। এ দিন এ নিয়ে বচসা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। অটোচালকদের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা অটোগুলিকে হাসপাতালের সামনে থেকে সরিয়ে দেন। ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ-বিক্ষোভ শুরু করেন। মিনিবাস আটকে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। |