কোথাও ভেঙ্গে পড়েছে মাথার ছাদ। কোথাও ধসে গিয়েছে দেওয়াল। উঠে গিয়েছে মেঝের কংক্রিট। ভর্তি আবর্জনার দুর্গন্ধে কোথাও দাঁড়ানোই দায়। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন যাত্রী প্রতিক্ষালয়গুলির অবস্থা এমনই।
শিল্প শহর দুর্গাপুর যখন গড়ে ওঠে তখন সেটি ছিল পুরোপুরি দুর্গাপুর ইস্পাত (ডিএসপি) কেন্দ্রিক। ইস্পাত টাউনশিপ গড়ে তোলার সময় ডিএসপি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুসারে রাস্তার ধারে কয়েকটি প্রতীক্ষালয় গড়ে তুলেছিল। পরে শহর সম্প্রসারিত হওয়ায় সময় ইস্পাত টাউনশিপের বাইরের এলাকাগুলিতেও কয়েকটি প্রতীক্ষালয় গড়ে তোলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্পাত টাউনশিপের প্রতীক্ষালয়গুলি ডিএসপি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করলেও টাউনশিরের বাইরের যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বললেই চলে। ফলে সেগুলি ক্রমশ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আধুনিক পরিকাঠামোর সুযোগ-সুবিধা যুক্ত এই শহরে এই ভাঙা ও নোংরা যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি দৃশ্য দূষণ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন নাগরিকরা।
|
দুর্গাপুর পশ্চিম রেলগেটের কাছে একটি প্রতীক্ষালয়। —নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় কড়ঙ্গপাড়ার বাসিন্দা ধ্রুবজ্যোতি কেশ বলেন, “দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের সামনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে রোজ বাস ধরি। মাথায় ছাদ নেই তাই রোদ মাথায় অপেক্ষা করতে হয়। বৃষ্টি হলেও সমস্যা হয়।” দুর্গাপুর সরকারী মহাবিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই কলেজের সামনের প্রতীক্ষালয়টি অনেকদিন ধরেই ব্যবহারের অযোগ্য। খুব বিপাকে না পড়লে কেউ সেখানে ঢোকেন না। অমরাবতী, ফুলঝোড়-সহ শহরের আরও বেশ কিছু যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের অবস্থাও খুব খারাপ।
বধর্মান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিএম সাংসদ সাইদুল হক বলেন, সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে শহরের সাতটি প্রতীক্ষালয় সংস্কারের জন্য মোট ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরসভা এই সংস্কারের কাজ করবে। প্রতীক্ষালয়গুলির নাম হবে মনিষীদের নামে। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করব তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভা এই কাজে আমাকে সহযোগিতা করবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ৪ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। যদিও দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পূর্ত) প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যাত্রী প্রতীক্ষালয় সংস্কার সংক্রান্ত কোনও চিঠি এখনও আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি।” |