কংগ্রেস থেকে একটি গোষ্ঠীর তৃণমূলে যোগদানের দিনই বোমাবাজি ও সংঘর্ষ হল কোচবিহারে। বুধবার কোচবিহার শহর ও লাগোয়া গুড়িয়াহাটি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ দিন বিকেলে কোচবিহার বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজের মাঠে দুষ্কৃতীরা একটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পরে রাতে স্টেশন মোড় এলাকাতে আরও একটি বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। মারধরে আহত হন এক তৃণমূল নেতা পঙ্কজ সেন ও এক তৃণমূল কর্মী সম্রাট কুণ্ডু।
বুধবারই বহরমপুরে কংগ্রেস ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাহুল রায় ও তার ‘রাজনৈতিক অভিভাবক’ বলে পরিচিত কোচবিহারের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। গত অগস্টে অভিজিৎবাবুদের বিরোধী শিবিরের বলে পরিচিত কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। স্থানীয় রাজনীতির নিয়মিত পর্যবেক্ষকদের অনুমান, কংগ্রেসেও যুযুধান পুরনো ওই দুই গোষ্ঠী তৃণমূলে সামিল হতে কংগ্রেসের কোন্দলের ছায়া ঢুকল তৃণমূলে।
তৃণমূলে সামিল অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “আমাদের কেন তৃণমূলে নেওয়া হল, তার জেরেই বীরেন কুণ্ডু লোক দিয়ে হামলা চালায়।” পুরপ্রধান বীরেনবাবু অবশ্য বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। সবটাই আমাকে হেয় করার ষড়যন্ত্র।” পুরসভা দুর্নীতি করেছে, এই অভিযোগে সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সম্রাট কুণ্ডুও। ফলে মারধরের পর বীরেনবাবুর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্রাটবাবুও। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কিছু লোক দলে ঢুকে অশান্তি করতে চাইছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিচ্ছি।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “গোলমালের খবর পেয়েছি, খোঁজ নিচ্ছি।” |