মেলার মুখে ক্রেতার চাহিদা সামলাতে ভক্তদের দানের ৪০ কেজি রুপোর গয়না গলিয়ে রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের ছবি সম্বলিত স্মারক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ওই ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা যায় ৬, ১১ ও ২১ গ্রাম ওজনের ওই স্মারকগুলি হবে মুদ্রার আকারের। দাম পড়বে ৪০৫, ৬৯২ ও ১২৬০ টাকা। আগাম নাম নথিভুক্তির ভিত্তিতে আগ্রহীদের স্মারক দেওয়া হবে। কোচবিহার জেলাশাসক তথা দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি মোহন গাঁধী বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ৫ কেজি রুপো গলিয়ে স্মারক তৈরি করা হয়েছিল। তা চটজলদি ফুরিয়ে গিয়েছে। ক্রেতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে, এ বারে রাসমেলার মুখে ৪০ কেজি রূপোর স্মারক তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” রথযাত্রায় মদনমোহন মন্দিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই স্মারক বিক্রি শুরু হয়। এক হাজারের বেশি বাসিন্দা স্মারক কিনতে নাম নথিভুক্ত করেন। প্রাথমিক ভাবে মদনমোহন, মা ভবানি ও আনন্দময়ী কালী মূর্তির ছবি দেওয়া হলেও, এবার মদনমোহন দেবের ছবি দিয়েই সমস্ত স্মারক করা হবে। |
দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা বলেন, “ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে এ বার সব স্মারকই মদনমোহন দেবের ছবি সংবলিত করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় নাম নথিভুক্তকারীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই স্মারক দেওয়া হবে। তার পরেও স্মারক মজুত থাকলে তৃতীয় দফায় নথিভুক্তকারীদের ক্রমানুসারে স্মারক তুলে দেওয়া হবে।”
দেবোত্তর ট্রাস্ট সূত্রের খবর, গত শুক্রবার থেকে তৃতীয় দফায় স্মারক কিনতে আগ্রহীদের নাম নথিভুক্তির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই ৫৬ জন নাম নথিভুক্ত করেন। দেবোত্তরের এক আধিকারিক জানান, দ্বিতীয় দফায় ১০২২ জন নাম নথিভুক্ত করে। তাঁদের অনেকেই ২০-২২টি স্মারক কিনতে আগ্রহের কথা জানান। সাকুল্যে স্মারক পান ৫০০ জন। এ বার ৪০ কেজি রুপোর স্মারক করার পর তালিকার ৫০১ নম্বর থেকে শেষ নম্বর পর্যন্ত তালিকাভুক্তদের রাসের সময় প্রথমে তা দেওয়া হবে। তার পর পর্যায়ক্রমে স্মারক মজুত থাকা পর্যন্ত তৃতীয় দফার তালিকাভুক্তরা তা হাতে পাবেন। |