ব্লক পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল পাহাড়ে। দার্জিলিঙের ৩টি মহকুমায় ৮টি ব্লক রয়েছে। পুনর্গঠনের পরে ব্লকের সংখ্যা বাড়িতে ১৮ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ৭ নভেম্বর জিটিএ-র বৈঠকে ব্লক পুর্নগঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরে বুধবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জিটিএ সদস্য এবং আধিকারিকদের বৈঠক হয়।
এ দিন বৈঠকে দার্জিলিঙে ৭টি ব্লক গঠনের প্রস্তাবও নেওয়া হয়েছে। যদিও কতগুলি ব্লক হবে তা রাজ্য সরকারেরই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। দার্জিলিঙের সদর মহকুমা শাসক দফতরে ওই বৈঠকের শেষে, জিটিএর নির্বাহী সদস্য জ্যোতি কুমার রাই বলেন, “যথাযথ ভাবে ব্লক পুনর্গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং মহকুমার তিনটি ব্লক ভেঙে নতুন ৭টি ব্লক গঠনের প্রস্তাবও এ দিন নেওয়া হয়েছে।”
সুখিয়াপোখরি, পুল-বিজনবাড়ি, রাংলি-রাংলিয়ট দার্জিলিং মহকুমায় বর্তমানে এই তিনটি ব্লক রয়েছে। কালিম্পং মহকুমাতেও তিনটি ব্লক রয়েছে, কার্শিয়াঙে ব্লকের সংখ্যা ২। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী দার্জিলিঙের মতো কালিম্পঙেও ব্লকের সংখ্যা ৭ এবং কার্শিয়াঙে ব্লকের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪ করা হবে।
এ দিনের বৈঠকে ব্লক পুর্নগঠনের জন্য একটি কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহকুমাগুলির মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে জিটিএ সদস্যরাও থাকবেন। জিটিএ সদস্য জ্যোতিবাবুর কথায়, “যথাযথ ভাবে উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার সুবিধের কথা মাথায় রেখেই ব্লকের সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্লকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাহাড়ের জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কথা মাথায় রেখেই ব্লক পুর্নগঠন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্লকের সংখ্যা বাড়লে সাধারণ বাসিন্দাদেরও ব্লক অফিসে কাজের জন্য খুব বেশিদূর যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।” |