টুকরো খবর
ক্ষতিপূরণ চেয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ
সরকারি হারের থেকে অন্তত ৪ গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং উপযুক্ত পুনর্বাসন চেয়ে বুধবার জলপাইগুড়ি শহরে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া ৩১ ডি জাতীয় সড়ককে পূর্ব-পশ্চিম মহা সড়ক তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। সেখানে জমি মালিক কল্যাণ মঞ্চও তৈরি হয়েছে। এ দিন ওই মঞ্চের তরফেই দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয়। মঞ্চের তরফে দাবি তোলা হয়েছে, সরকারের তরফে যে হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। বর্তমানে জাতীয় সড়কের পাশে জমির যে বাজার মূল্য তার থেকে কম হারে ক্ষতিপূরণ মিলছে বলে অভিযোগ। সে কারণেই সরকারি হারের থেকে নুন্যতম ৪ গুণ বেশি হারে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলা হয়েছে বলে মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে। মঞ্চ সভাপতি প্রদীপ দে বলেন, “আমরা প্রস্তাবিত সড়কের বিরোধিতা করছি না। আমাদের দাবি উপযুক্ত ও নায্য ক্ষতিপূরণ। অনেকেই কয়েক প্রজন্ম ধরে এলাকায় বসবাস করছেন। তাদের ভিটে মাটি হারাতে হবে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেলে তাঁদের কী হবে সেটাও ভেবে দেখা দরকার। পাশাপাশি সবার পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও দ্রুত করতে হবে।”

ট্রাক থামিয়ে আলু বিক্রি করল তৃণমূল
ট্রাক থামিয়ে দুশো বস্তা আলু পুলিশের উপস্থিতিতেই বিক্রি করে দিলেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার শিলিগুড়ির আশিঘর মোড় এলাকায়। রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের শিখা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১৩ টাকায় ওই আলু বিক্রি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে আশিঘর মোড় দিয়ে দু’টি ট্রাক আলু নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের নজরে পড়ে। তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে ওই ট্রাক দু’টিকে আটকান। এলাকার তৃণমূল নেতারা এসে আলুর বস্তাগুলিকে নামিয়ে আনেন। তাঁরাই পরে ভক্তিনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে রাতে আলু পাহারা দেয়। সকালে ওই আলু ভাগ করে আশিঘর মোড়ে এবং জলেশ্বরী মোড়ে বিক্রি করা হয়। শিখাদেবী বলেন, “১৩ টাকা কেজিতে আলু বিক্রির সরকারের নির্দেশ থাকলেও গত কয়েক দিন থেকে আলু অমিল। দু’টি ট্রাক আলু নিয়ে যাচ্ছে শুনে আমরা স্থির থাকতে পারিনি। এ দিন সকাল থেকেই ওই আলু তাঁর মালিককে দিয়েই ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করিয়েছি। সামনে পুলিশ ছিল। বিক্রির লাভ মালিকই নিয়েছেন।” পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামনব বলেন, “কেউ যদি সরকারি দরে আলু বিক্রি করতে সাহায্য করেন, তাতে অনৈতিক কিছু নেই। লুঠপাট হলে পুলিশ নিশ্চয় হস্তক্ষেপ করত।”

নিহত জওয়ান
যুবরাজের ছবি হাতে বোন সুধা প্রধান। রাজকুমার মোদকের তোলা ছবি।
ছত্তীসগঢ়ের সুকমা থেকে ভোটের ডিউটি করে ফেরার সময় মঙ্গলবার ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন বিএসএফ জওয়ান যুবরাজ প্রধান (২১)। জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের কাঁঠালগুড়ি চা বাগানে বাড়ি যুবরাজের। সেখানে থাকেন তাঁর মা, দুই বোন। সোমবারই শিলিগুড়ির এক হাসপাতালে যুবরাজের মা সরিতা প্রধানের গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার হয়। অপারেশন চলার সময় যুবরাজ কয়েক দফা ফোনে মার খবর নেন। তবে মায়ের সঙ্গে আর কথা হয়নি। পাঁচ বছর আগে বাবা মারা যান। অভাবের সংসারে দু’বছর আগে বানারহাট থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে যুবরাজ বিএসএফ কনস্টেবলের চাকরি পান। ডিসেম্বরে যুবরাজের বাড়ি আসার কথা ছিল। তাঁর বিয়ের কথাও চলছিল। কাল, শুক্রবার যুবরাজের দেহ ডুয়ার্সে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ-কর্তারা।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.