দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের চিঠি তাঁরা পেয়েছেন বলে বুধবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল। ২০ নভেম্বর রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং তার পরের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কলকাতায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে মোর্চা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এ দিনই রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের চিঠি পাঠানো হয় বলে জানান সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।
এ দিন বিজনবাড়িতে মোর্চার সভায় বৈঠকের কথা ঘোষণা করা হয়। জিটিএ এলাকার উন্নয়নই ওই দুই বৈঠকের মূল বিষয় বলে মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “আজকেই বৈঠকের চিঠি পেয়েছি। উন্নয়ন নিয়ে আলোচনায় জোর দেব। দার্জিলিং পাহাড় এলাকাকে নর্থ-ইস্ট কাউন্সিলের অর্ন্তভুক্ত করা, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, গোর্খা সম্প্রদায় বাসিন্দাদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার, দার্জিলিঙের সংরক্ষিত বনাঞ্চল জিটিএ এলাকাভুক্তির দাবি বৈঠকে জানানো হবে।” সম্প্রতি পাহাড়ে আন্দোলনের সময়ে ধৃত মোর্চা-নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবিও ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আলোচনায় তোলা হবে বলে মোর্চার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের যুবকদের পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ, জিটিএ অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি জানানো হয়েছে। রাজ্য-কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে উন্নয়ন নিয়ে ঘোষণার পাশাপাশি পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না আন্দোলনের কথাও এ দিন সভা থেকে মোর্চা নেতারা ঘোষণা করেন। ১৩ ডিসেম্বরে দিল্লিতে যন্তর-মন্তরের সামনে পৃথক গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবিতে ধর্না কর্মসূচি রয়েছে মোর্চার। ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বর পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলন কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছে। এর পরে সংসদ ভবনের সামনে ধর্না-অবস্থানও করা হবে বলে মোর্চা জানিয়েছে।
এ দিনের সভায় জিএনএলএফকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মোর্চা নেতারা। দার্জিলিং শহরের চকবাজার, স্টেশন এলাকায় জিএনএলএফের পতাকাও উড়তে দেখা যাচ্ছে। রোশন গিরি বলেন, “জিটিএ স্বাগত জানানো মানে এই নয় যে, জিএনএলএফের মতো হিল কাউন্সিল পেয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিকে ভুলে গিয়েছি। জিটিএ-ই হল গোর্খাল্যান্ডের ভিত্তি।” |