পুলিশের গাড়ি থামিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ফলেন বর্মনকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ফলেনবাবুর ছেলে কিশলয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবারে রাতে মাটিগাড়া থেকে কিশলয়কে গ্রেফতার করে বাগডোগরা থানার পুলিশ। মাটিগাড়া থানার সহকারি সাব ইন্সপেক্টর নিত্য দে সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ফলেনবাবু ও তাঁর দুই ছেলে দেবাশিস ও কিশলয়ের নাম ছিল। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সদস্যকেও খোঁজা হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছেন, একটি দোকান ঘর নিয়ে গোলমালের জেরে গত রবিবার রাতে পঞ্চায়েত সদস্য ফলেনবাবুকে রাঙাপানি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাটিগাড়া থানাকে সাহায্যের জন্য বাগডোগরা থানার পুলিশও যায়। বাগডোগরার বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তা থেকে ফলেনবাবুর পরিবারের লোকজন তাঁকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও ফলেনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি ছিল, “মারধরের অভিযোগ করার পর উল্টে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা তাঁকে তুলে নিয়ে এলাকার নানা দিতে ঘুরছিল তিনি অসুস্থ থাকায় তাঁর পরিচিতরা তা নিয়ে আপত্তি করেন। পরে বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।”
এর পরে মাটিগাড়া থানার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ কমিশনার। পুলিশ সূত্রের খবর, শিবমন্দির যে এলাকার দোকান ঘরটি নিয়ে গোলমাল হয়েছিল তাঁর মালিক প্রবীর ঘোষও ফলেনবাবুর নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে দোকান ঘরটি পুলিশ তালা দিয়ে দিয়েছে। প্রবীরবাবুর অভিযোগ, “ফলেনবাবুদের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যায়। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে সব জানাই। তার পরে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নতুন করে আলোচনায় ঘরটি এক বছরের জন্য ভাড়া এবং বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলি। এর বদলে ফলেনবাবুরা মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছিল। তা না করে ঘর এবং বিদ্যুতের সংযোগের জন্য চাপ দিচ্ছিল। মানা করায় ওঁরা আমার উপর রবিবার হামলা করেন। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে।” ঘটনার দিনই ফলেনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেন। |