গোলমালের আশঙ্কা করে শিলিগুড়ি পুরসভার উপ-নির্বাচনে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলল দার্জিলিং জেলা সিপিএম। বুধবার দলের নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ও জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার ওই দাবির কথা জানান। দলীয় সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দলের রাজ্য নেতারা বিষয়টি জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আর এক দফায় জেলার নেতারা নির্বাচন কমিশনে এই বিষয়ে চিঠি দেবেন। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব নিজের সরকারি পদ ব্যবহার করে ভোটের আগে নানা ভাবে ভোট বিধি ভঙ্গ করছেন বলে অশোকবাবুরা অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল অবশ্য এ ধরনের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবুর দাবি, “খুনের আসামি-সহ নানা মামলার অভিযুক্তদের তৃণমূলে নেওয়া হচ্ছে। এখনও দুটি ওয়ার্ডে বড় গোলমাল হয়নি ঠিকই। তবে আশঙ্কা, তৃণমূলের নেতৃত্বে অশান্তি হতে পারে। তাই আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে।” একই সুরে জীবেশবাবু বলেন, “ভোটের আগে থেকেই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা চাই নির্বাচন কমিশন আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করুক।”
২২ নভেম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার ১১ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে উপ নির্বাচন হবে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নান্টু পাল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে যায়। আর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চৈতালি সেন শর্মা ব্যক্তিগত কারণে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় উপ নির্বাচন হচ্ছে। দুটি ওয়ার্ডেই সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে।
অশোকবাবু কথায়, “আমরা নির্বাচন কমিশনে লিখিত ভাবে সবকিছু জানাচ্ছি। এর সঙ্গে, আমরা জবরদখল এবং অগণতান্ত্রিক কাজের বিরোধিতা করে প্রচারও করছি।” পক্ষান্তরে, উত্তরবঙ্গর উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, “আমি কোনও পদের অপব্যবহার করে কোনও বিধিভঙ্গ করছি না। সিপিএম যা বলছে তার জবাব দলের নেতারাই দেবেন।” তৃণমূলের তরফে উপ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা জেলার অন্যতম নেতা কৃষ্ণ পালের মন্তব্য, “অশোকবাবু প্রচারের আলোয় থাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই বলছেন।” |