যে জমিতে মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয় তৈরি হচ্ছে শিলিগুড়িতে, সেই সব জমিহারাদের হাতে জমির পাট্টা ও খতিয়ান তুলে দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ওই জমিতে গৃহ নির্মাণের জন্য সাড়ে ২২ হাজার টাকার চেকও তুলে দেন তিনি। আরও বাকি সাড়ে ২২ হাজার টাকা এক মাস পরে দেওয়া হবে বলে এ দিন ঘোষণা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বুধবার শিলিগুড়ি শহরে তিনবাত্তি সংলগ্ন এনএইচপিসি টাউনশিপের পাশে শাখা সচিবালয় চত্বরে এক অনুষ্ঠানে ২৪টি পরিবারকে চেক ও পাট্টা বিতরণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের পর গৌতমবাবু বলেন, “উন্নয়নের স্বার্থে যাঁদের জমি নেওয়া হয়েছিল তাঁদের সবাইকে এ দিন পাট্টা দেওয়া হল। ওঁদের কয়েকটি জায়গা দেখানো হয়। তার মধ্যে শালুগাড়ায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় তাঁরা নিজেদের জন্য জায়গা পছন্দ করেছেন। সেখানেই জায়গা দেওয়া হল।”
গৌতমবাবু আরও জানান, আরও ৪টি পরিবারকে ওখানে জায়গা দেওয়া হবে। তাঁদের বিডিও অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানের পর সচিবালয়ের কাজ ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। |
সচিবালয়ের নকশা দেখে কাজের অগ্রগতি সম্বন্ধে আধিকারিকদের কাছ থেকে জেনে নেন মন্ত্রী। খুঁটিয়ে জেনে নেন কী ভাবে সাজানো হচ্ছে শাখা সচিবালয়কে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য যে ঘরটি তৈরি হচ্ছে তাও ঘুরে দেখেন তিনি।
পুনর্বাসনের জন্য অধিকার প্রকল্পে মোট ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তার অর্ধেক এদিনই দিয়ে দেওয়া হল। বাকিটাও দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সমস্ত পরিবারকে নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। স্থানান্তরের কাজই করা হবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে। ওই দিন সরকারের তরফে মধ্যাহ্নভোজ আয়োজন করা হচ্ছে বলেও দফতর সূত্রের খবর। যত দিন ঘর তৈরি না হয় তত দিন যাতে বাসিন্দারা আচ্ছাদন করে থাকতে পারেন তার জন্য ত্রিপল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে।
৬ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে এই শাখা সচিবালয়। রাজ্যের কাজ চালানোর জন্য সব সুবিধাই থাকছে। অডিটোরিয়াম, সার্কেল রোড, মাটির নীচ দিয়ে নিকাশি নালা জোড়াপানি নদীতে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। থাকছে পুকুরও। ভবনটিতে উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ ভবনের ধাঁচে ছাদের বদলে টিনের চাল রাখা হচ্ছে বলে গৌতমবাবু জানিয়েছেন। আগামী জানুয়ারি মাসেই সচিবালয় চালু করে ফেলার ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও এন সি শেরপা, ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপন সিংহ-সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। |