টুকরো খবর
অরুণাভের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপ, অভিযোগ
কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার মতো কারণ তিনি খুঁজে পাননি। বরং অরুণাভবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে চাপ দিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ মান্না। সন্দীপবাবু গত মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বিচারককে লিখিত ভাবে জানান, তাঁকে কাজ করতে না দেওয়ার জন্য ভয় দেখানো হয়েছিল। তিনি স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন সেই চিঠিতে। তবে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তৃণমূলের আইনজীবী নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “অরুণাভবাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছিল। তার কোনও রায় না দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট যে রিপোর্ট দিলেন, তা ভিত্তিহীন। চাপ দেওয়ার অভিযোগ উনি কেন করছেন, বুঝছি না!” তাঁর আরও বক্তব্য, “এমন ঘটনা ঘটলে সংবাদমাধ্যমে কেউ এত দিন জানতে পারল না!” স্পিকার সম্পর্কে অরুণাভবাবুর একটি মন্তব্যের পরে রাজ্যের বার কাউন্সিল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশন। তা নিয়ে অরুণাভবাবুর একটি মন্তব্য মানহানিকর বলে দাবি করেন সংগঠনের সদস্যরা। ২৩ সেপ্টেম্বর আলিপুর আদালতে মানহানির মামলা দায়েরও করা হয়।

পুরনো খবর:

পুরস্কৃত স্কুল
স্কুলের অনুষ্ঠানে খুদেরা। বহরমপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
‘শিশুমিত্র বিদ্যালয়’ পুরস্কার পেয়েছেন ইন্দ্রাণী হাসনা মায়ানি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ১১ নভেম্বর কলকাতার টাউন হলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার ২০১১ সাল থেকে ১১ নভেম্বর শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়গুলিতে পরিশ্রুত পানীয় জল, স্যানিটেশন, শিশু বান্ধব পরিবেশ, মিড-ডে মিল, নান্দনিক বিকাশ-সহ সার্বিক উন্নয়নে উৎসাহ দানের জন্য ব্লক স্তরে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার, জেলা স্তরে শিশু মিত্র বিদ্যালয় পুরস্কার এবং রাজ্য স্তরে যামিনী রায় পুরস্কার চালু করেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষক-ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলে ছাত্র বান্ধব পরিবেশ তৈরি করার স্বীকৃতিতে এই পুরস্কার।” জেলা স্তরে ওই পুরস্কার পেয়েছে ট্যাংরামারি ও শিশুভারতী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

স্যাটের নির্দেশ, তবু নিয়োগ ঝুলে ক্রেতা সুরক্ষায়
অন্য দফতরে কিছু কর্মী বহু কাঠখড় পোড়ার পরে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনিক আদালতের (স্যাট) নির্দেশ সত্ত্বেও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) প্যানেলভুক্ত ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ এখনও আটকে। সরকারের তৎপরতার অভাবেই নিয়োগ ঝুলে বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীরা ‘অধিকার রক্ষা মঞ্চ’-এর তরফে আন্দোলন চালানোর কথা বলছেন। বিভিন্ন দফতরে চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১১-তে। প্রথম এবং তৃতীয় তালিকায় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম ছিল। কিন্তু তাঁরা নিয়োগপত্র পাননি। একই সমস্যায় ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের জন্য নির্বাচিতেরাও। তাঁরা স্যাটে মামলায় জিতে চাকরি পেয়েছেন এই বছর। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের জন্য নির্বাচিতদের মধ্যে ১০ জনও চাকরি পেতে স্যাটে মামলা করেছিলেন। স্যাট ১৩ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছে, প্যানেলভুক্তদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু তার দু’মাস পরেও ওই দফতর থেকে নিয়োগের খবর পাননি ভুক্তভোগীরা।

পুরনো খবর:

সারদা নিয়ে নির্দেশ মানা হচ্ছে না, নালিশ কোর্টে
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা করেছেন আইনজীবী বাসবী রায়চৌধুরী। তাঁর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, সারদার ব্যাপারে ডিভিশন বেঞ্চ যে-সব নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য সরকার তার অধিকাংশই পালন করেনি। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। তছরুপের তদন্তে নিযুক্ত বিশেষ দল সিট-এর ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকেও মূল্য দেয়নি সরকার। সারদার সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের ছ’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এখনও চালু আছে। সম্প্রতি এক বিচারপতি টাওয়ার ইনফোটেক নামে একটি আর্থিক সংস্থার সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সুব্রতবাবু বলেন, সারদার ক্ষেত্রে এই পথ নিলে আমানতকারীদের টাকা পাওয়া অনেক সহজ হত। সারদার তদন্ত কতটা এগিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে এ দিন সেই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে রাজ্য। জুন থেকে অক্টোবর, এই পাঁচ মাসের রিপোর্ট জমা পড়েছে বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সেটি পড়ে একটি সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট তৈরি করে ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুরনো খবর:
পণের টাকা ফেরত নিয়ে তিরস্কার
ক্যানসারে আক্রান্ত দেবশ্রী দেবকে পণের এক লক্ষ টাকা এবং সাড়ে ছ’ভরি সোনার গয়না বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। দেবশ্রীদেবীর শ্বশুরমশাই এ দিন হাইকোর্টে জানান, তাঁরা ৫০ হাজার টাকা দিতে চান। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তিরস্কার করে বলেন, “লজ্জা করে না! ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্ত্বেও তো এক লক্ষ টাকা পণ নিয়েছিলেন! ক্যানসারে আক্রান্ত বৌমার চিকিৎসা হচ্ছে না। আপনি এখন দরাদরি করছেন?” বিচারপতি জানিয়ে দেন, নির্দেশের কোনও পরিবর্তন হবে না। ১৩ দিনের মধ্যে কোর্টে এক লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে এবং সেটা তুলে দিতে হবে ওই বধূর হাতে। ২৭ নভেম্বর কোর্টে এসে ফিরিয়ে দিতে হবে সাড়ে ছ’ভরি গয়না। অন্যথায় ওই গয়নার সমান মূল্যও জমা দিতে হবে কোর্টে। দেবশ্রীদেবী এ দিন কোর্টে এসেছিলেন। কিন্তু আসেননি তাঁর স্বামী। বিচারপতি জানিয়ে দেন, এটাই শেষ সুযোগ। এর পরের দিন হাইকোর্ট কঠোরতর ব্যবস্থার পথে হাঁটবে।

নপরাজিতের নয়া নিয়োগে প্রশ্ন
প্রাক্তন ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়কে অবসরের আগেই কেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হল, কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই নিয়ে মামলা করেছে এপিডিআর। বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে এই ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন। তাঁর আইনজীবী বুধবার আদালতে বলেন, নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনের ৫১টি সুপারিশ রয়েছে। তিনি কমিশনের সদস্য হলে সেই সব সুপারিশ চেপে যাওয়ার ব্যবস্থা হবে। তা ছাড়া কেউ অবসর না-নিলে অন্য পদে তাঁকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা যায় না। সরকারের তরফে বলা হয়, কমিশন সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু তা মানা হবে কি না, সেটা ঠিক করে রাজ্য। বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বলেছে সরকারকে। ১২ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে।

বন্দর বাঁচাতে
কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর বাঁচাতে রাজনৈতিক রং সরিয়ে আন্দোলনের ডাক দিল সিটু। রাজ্যের স্বার্থে তৃণমূলের সঙ্গে এক মঞ্চে আন্দোলনেও তাঁদের আপত্তি নেই, এমনই বার্তা দিয়েছেন সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব। কলকাতা বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ রুখতে যে ভাবে সিপিএম, তৃণমূল-সহ সব দলের সংগঠন এক ছাতার তলায় এসেছে, বন্দরেও সেই পথ নেওয়ার কথা বলছেন তাঁরা। দু’টি বন্দর বাঁচাতে ড্রেজিং-সহ নানা ব্যবস্থার দাবিতে বুধবার কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের তিন সাংসদ তথা সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী, তপন সেন ও বাসুদেব আচারিয়া। ড্রেজিং খাতে কেন্দ্রের ভর্তুকি আটকে আছে কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পোর্ট ট্রাস্ট দফতরের সামনে সমাবেশে শ্যামলবাবু বলেন, “কিছু দিন আগে যাঁদের (তৃণমূল) হাতে জাহাজ মন্ত্রক ছিল, তাঁদের সময়ে সর্বনাশ হয়েছে! এখন প্রায়শ্চিত্ত করুন!”

মহাকরণ খালি করার নির্দেশ
রাজ্যের নতুন প্রশাসনিক সদর নবান্নে অধিকাংশ দফতর চলে গিয়েছে। কিন্তু মহাকরণে এখনও ৮-৯টি অফিস রয়ে গিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের মহাকরণ ছেড়ে অন্যান্য সরকারি ভবনে উঠে যাওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হল। বুধবার পূর্ত দফতরের সচিব ইন্দিবর পাণ্ডের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহাকরণ সংস্কারের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। সেই জন্য মহাকরণের সব দফতরকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অন্য ভবনে চলে যেতে হবে। জলসম্পদ, শ্রম, কারিগরি শিক্ষা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, শিশু ও সমাজ কল্যাণের মতো কিছু দফতর মহাকরণে রয়ে গিয়েছে। নব মহাকরণে রয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের অফিসও। তাদের নব মহাকরণ ছেড়ে সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের বাড়িতে উঠে যেতে বলা হয়েছে।

ল্যাংচা, পাটালি দিল্লির মঞ্জুষায়
শক্তিগড়ের ল্যাংচা, পাটালি গুড়, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, দার্জিলিঙের চা এবং জয়নগরের মোয়া ডিসেম্বর থেকে দিল্লির খড়্গ সিংহ মার্গে মঞ্জুষার বিপণন কেন্দ্রে মিলবে। বুধবার মহাকরণে এই বিষয়ে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মঞ্জুষাকে লাভজনক করে তুলতে চান। মঞ্জুষাকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে তাই কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মঞ্জুষার আয় দ্বিগুণ হয়েছে, দাবি স্বপনবাবুর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.