চালানে গোলমাল থাকার অভিযোগে পুঞ্চা ও বোরো থানা এলাকায় ২০ ট্রাক আলু আটক করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই দুই এলাকায় পুলিশ মোট ৩৭ ট্রাক আলু আটকেছিল। কাগজপত্র যাচাই করে ২০ ট্রাক আলু আটক করে পুলিশ। বাকি ট্রাকগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরুলিয়ার ডিএসপি (ডিইবি) মহম্মদ শেখ আজম বলেন, “পুঞ্চায় ৯টি ও বোরো থানা এলাকায় ১১টি আলু ট্রাক আটক করা হয়েছে। ওই ট্রাক ভর্তি আলু নিয়ে কী করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।”
বান্দোয়ানে গত কয়েক দিনের মধ্যে পুলিশ দু’দফায় ২৩ ট্রাক আলু আটক করেছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ওই ট্রাক পাঠানো হচ্ছিল। তার মধ্যে কয়েকটি গাড়িতে ঝাড়খণ্ডে আলু পাঠানো হচ্ছিল বলে পুলিশ দাবি করেছিল। এ দিকে ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরেও পুলিশ আলুর গাড়ি আটকে দেওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে জেলার আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বুধবার সকালে পুঞ্চা থানার পায়রাচালি গ্রামে ঢোকার মুখে দেখা গেল, আলু ভর্তি ট্রাক রাস্তায় সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাঁকুড়া জেলার হিড়বাঁধ থানা পেরিয়ে ট্রাকগুলি পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানা এলাকায় ঢোকার মুখে পুলিশ আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির চালকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু অসঙ্গতি পাওয়ায় সন্দেহ বাড়ে। দীর্ঘক্ষণ ধরে আলুর চালানের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়। এক পুলিশ কর্তা জানান, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, পাত্রসায়র এলাকা থেকে আলু পাঠানো হচ্ছিল। ওই আলু মানবাজার, বরাবাজার, বলরামপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা চালানে লেখা রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে খোঁজ করতে গিয়ে গোলমাল দেখা যাওয়ায়, ট্রাকগুলি আটকে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন মানবাজারের আলু ব্যবসায়ী টোটন মাহিন্দার। তিনি দাবি করেন, “খাওয়ার জন্য নয়, চাষিদের বিক্রি করার জন্য বীজ আলু নিয়ে আসছিলাম। এখন দেখছি পুলিশ ওই গাড়িও আটক করছে।” বোরো থানার জামতড়িয়ার রাস্তায় বুধবার সকাল অবধি পুলিশ ২১টি গাড়ি একই কারণে আটকে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বাঁকুড়ার রাইপুর, সারেঙ্গা থেকে আলু নিয়ে গাড়িগুলি আসছিল। পুরুলিয়ার যে সব এলাকায় গাড়িগুলি নিয়ে যাওয়ার কথা চালানে উল্লেখ করা হয়েছে, সে সব এলাকায় এই রাস্তা দিয়ে সাধারণত গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় না। তাই সন্দেহবশত আটকানো হয়েছিল। পরে ১৯টির মধ্যে ৮টি গাড়ি ছাড়া হয়। বাকি ১১টি গাড়িতে আলু নিয়ে যাওয়ার কাগজে গোলমাল থাকায় আটক করা হয়েছে। |