হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে ফুলে ঢাকা শববাহী গাড়িটা। ভিতরে শুয়ে রয়েছেন মান্না দে। প্রিয় গায়কের অন্তিম যাত্রায় সামিল হয়ে মুহুর্তের মধ্যে যেন শোকস্তব্ধ হয়ে গেল গোটা কৃষ্ণনগর। জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রায় আয়োজিত টা্যবলোর মধ্যে ছিল এমনই নানা চমক। প্রতি বছরই ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ট্যাবলোগুলিতে উঠে আসে সাম্প্রতিক কালের নানা বিষয়। এ বারও তার বদল ঘটেনি। মঙ্গলবার সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে শহরের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোডের দু’ধারে। সেই ভিড় কেটে জলঙ্গি নদীর দিকে এগিয়ে যায় একটার পর একটা বারোয়ারির শোভাযাত্রা। এগোতে থাকে ট্যাবলোগুলিও। |
‘বুড়িমা’-‘ছোটোমা’ বিসর্জন জলঙ্গিতে।—নিজস্ব চিত্র।
|
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এই শহরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শোটির মত পুজো হয়। সকলেই কিন্তু ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যোগ দেয় না। এ বছর যেমন ২৩টা বারোয়ারি ঘট বিসর্জনে যোগ দিয়েছে। ট্যাবলোগুলিতে উঠে এসেছে লালুপ্রাদের জেল, তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখ মালালা, সচিনের অবসর, উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়, ম্যাজিক শো, রণপা, ছৌনাচ এমনই নানা কিছু। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে আলুর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে তৈরি ট্যাবলো। ঘট বিসর্জন শেষ হওয়ার পর সন্ধে নামার আগেই প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু এই বিসর্জন চলেছে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। |