|
|
|
|
এত দিন প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছে,
এ বার জীবনকে উপভোগ করুক কুন্তল চক্রবর্তী • মুম্বই
বেঙ্গালুরু থেকে সচিনের বিদায়ী টেস্টের টিভি ধারাভাষ্য দিতে মুম্বই পৌঁছে
সেই কাজ শুরুর আগেই কিংবদন্তি সতীর্থ নিয়ে আনন্দবাজারকে সাক্ষাৎকার দিলেন রাহুল দ্রাবিড়। |
|
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেন্ডুলকর-দ্রাবিড় পার্টনারশিপ দুর্দান্ত সফল। ২০টা সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ রয়েছে আপনাদের। টেস্ট ক্রিকেটে রেকর্ড। সাফল্যের রসায়নটা কী ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
দ্রাবিড়: সচিনের সঙ্গে আমার পার্টনারশিপটা স্পেশ্যাল ছিল। ওই পার্টনারশিপে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা শিখেছি সেটা হল, শট নির্বাচন আর কী ভাবে বড় ইনিংস গড়ে তুলতে হয়। এই অভিজ্ঞতাটা ব্যাখ্যা করা কঠিন। কেরিয়ারে যদি আমাকে এক জন ব্যাটসম্যান বেছে নিতে হয় যার সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলতে শিখেছি সে হল সচিন তেন্ডুলকর।
প্রশ্ন: টেস্টে আপনাদের সেরা পার্টনারশিপ কোনটা বাছবেন?
দ্রাবিড়: এত পার্টনারশিপের মধ্যে একটাকে বেছে নেওয়া কঠিন। তবু বলব অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০১-এ ইডেনে ভিভিএসের সঙ্গে সেই স্মরণীয় পার্টনারশিপ খেলার পরের টেস্টেই চেন্নাইয়ে সচিনের সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপটা মনে থাকবে। চেন্নাইয়ে নামার আগে সিরিজ সমান-সমান ছিল। আমাদের সিরিজ জিততে হলে বড় রান করতে হত। অস্ট্রেলিয়ার ওই বোলিং আক্রমণ সামলে (ম্যাকগ্রা-গিলেসপি-ওয়ার্ন) আমাদের জুটিতে করা রানের পর যে ভাবে আমরা টেস্টটা জিতেছিলাম তাতে ওই পার্টনারশিপটাই এখন মনে পড়ছে।
প্রশ্ন: সচিনকে নিয়ে এমন কোনও গল্প যা চিরকাল মনে থেকে যাবে?
দ্রাবিড়: সচিন যে দিন বলেছিল অবসর নেবে ঠিক তার পরের দিন থেকে যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই সবাই এই প্রশ্নটা করছে। সচিন এত দিন ক্রিকেট খেলছে। এত বছরে ওকে নিয়ে এত কিছু লেখা হয়েছে যে, আলাদা করে বলার মতো আর কোনও গল্প নেই। আমি চাইব শেষ টেস্টে ও দারুণ খেলে কেরিয়ার শেষ করুক। আর ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর খুব ভাল একটা জীবন কাটাক।
|
|
প্রশ্ন: এক সঙ্গে এত ওয়ান ডে আর টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। সচিনের প্রচুর ভাল ইনিংসের সাক্ষী ছিলেন। সচিনের সেরা ওয়ান ডে আর টেস্ট ইনিংস বাছতে বললে কোন দু’টো বাছবেন?
দ্রাবিড়: সচিনের এত ভাল ভাল ইনিংসের মধ্যে নির্দিষ্ট ভাবে একটা বাছা খুব শক্ত। তবে ওয়ান ডে-তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভিবি সিরিজে একটা ইনিংস আর শারজায় সেই বিখ্যাত মরুঝড় আমার কাছে ওর ওয়ান ডে-র দু’টো সেরা ইনিংস। টেস্টে সচিনের স্মরণীয় ইনিংসের মধ্যে আমার তালিকায় থাকবে পার্থে উনিশ বছর বয়সে ওর সেঞ্চুরি, সিডনিতে ম্যাকগ্রা, ব্রেট লি-দের বিরুদ্ধে ২৪৭, পাকিস্তান সফরে মুলতানে অপরাজিত ১৯৪ আর হেডিংলেতে করা সেঞ্চুরি। এই চারটে ইনিংস আমার মতে টেস্টে সচিনের সেরা চার। তবে এগুলোর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এ ভাবে বাছাটা কঠিন।
প্রশ্ন: ক্রিকেট ছাড়ার পর সচিনকে কোন ভূমিকায় দেখতে চাইবেন?
দ্রাবিড়: ক্রিকেট থেকে অবসরের পর সচিনের ভূমিকা যা-ই হোক না কেন, চাইব সচিন যেন জীবনকে খুব উপভোগ করে। দেশের খেলাধুলোকে গত চব্বিশ বছরে সচিন এত কিছু দিয়েছে। ক্রিকেটের জন্য এত কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলতে জীবনে প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছে। এ বার চাইব সচিন নিজেকে সময় দিক আর জীবনকে চুটিয়ে উপভোগ করুক। |
|
|
|
|
|