নয়া প্রজন্ম নিয়ে চর্চা সরিয়ে
আজ মুম্বইয়ে সচিন-উৎসব
য়াংখেড়েতে গোটা কংক্রিটের ছাদ জুড়ে বৃত্তাকারে তাঁর ছবি। পাশে ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন। যার মডেল তিনি।
সচিন তেন্ডুলকর তো? আজ্ঞে না। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির বিজ্ঞাপন তো করেন না সচিন। স্টেডিয়ামের ছাদজোড়া ছবিতে তাঁর থাকার সম্ভাবনাও তাই উধাও হয়ে যাচ্ছে। ওটা বিরাট কোহলি!
বুধবার ওয়াংখেড়েতে ঢুকে খুব প্রতীকী মনে হল দৃশ্যটা। সচিনের সম্মানে গোটা মাঠ জুড়ে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা একশোটা বিলবোর্ড লাগিয়েছে। এক-একটা বোর্ডে এক-একটা সেঞ্চুরির হিসেব। এগুলো রাখা জমিতে। জমি থেকে এগুলো গুছিয়ে নিয়ে তিনি অদৃশ্য হয়ে যাবেন। আর তাঁর উত্তরসূরি ক্রমশ আরও বড় উড়ানে ভাসমান হতে থাকবেন। তোমার হল শুরু, আমার হল সারা। শুধু অক্ষত থেকে যাবে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং পরম্পরা।
আর পাঁচটা দিন হলে ছবিটা এমনই হত। সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের দু’শোতম টেস্ট মনে হচ্ছে অপ্রত্যাশিত নানান মুহূর্ত ভাঙবে-গড়বে। বিকেলের দিকে কাঁচুমাচু ভাবে এগিয়ে এলেন বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মী। দেখি তাঁর মক্কেলকে বলছেন, সব বিরাটের ছবি নামাতে হবে। এমসিএ আপত্তি করছে। কারা নাকি লিখে দিয়েছে, ছাদটা দেখে বোঝা যাচ্ছে না— ফেয়ারওয়েল কার? বিরাটের? না সচিনের?
অন্তত চল্লিশখানা ছবি বিরাটের। রুফটপ লেভেল থেকে সেগুলো সরাতে হলে তো অনেক জায়গা ফাঁকা হয়ে যাবে। সেই জায়গাটা ভরাট হবে কী করে? কর্মীটি বললেন, “যুক্তি-টুক্তি এখন চলবে না। যা বলছে করতে হবে।” ফোনের এক দিকটা শুনে আবছা মনে হল মক্কেলও কোনও আপত্তি করবেন না।
এটা একেবারে অন্য রকম টেস্ট ম্যাচ। পুরুষালি কর্কশতার নয়। জিঘাংসার নয়। এ হল সেন্টিমেন্টের মায়া মাখানো ম্যাচ। যেখানে যুক্তিকে নো নেটওয়ার্ক করে দিয়ে বারবার আবেগ লগ-ইন করবে।

শেষ বেলায়। বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুশীলন। ছবি: উৎপল সরকার।
সকালে ভারতীয় নেট প্র্যাকটিসে এক অপ্রত্যাশিত অতিথি। দূর থেকে তাঁকে দেখে নিঃসন্দেহ হওয়া যাচ্ছিল না, তিনিই কি না। একেবারে ন্যাড়া যে। আর আজ অবধি টিম ট্রেনিং করার সময় তাঁকে কেউ মাঠের ধারে পাশেও দেখেনি। সেই নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন এত সকালে! চুলটা মনে হল নির্ঘাত ক্রিকেট বোর্ড সংক্রান্ত কোনও মানত-টানত ছিল, তিরুপতিতে বিসর্জন দিয়ে এসেছেন। টিম যেখানে প্র্যাকটিস করছে এর পর সে দিকে চলে গেলেন। কিছু পরে বোঝা গেল সরেজমিন তদারকিতে এসেছিলেন। প্রচুর গণ্যমান্য অতিথি ক্রিকেট ইতিহাসের অসম্ভব তাৎপর্যপূর্ণ এই মাইলফলক দর্শনে আসবেন। সব চেয়ে বড় কথা, এই প্রথম গোটা তেন্ডুলকর পরিবার মাঠে বসে তাদের ‘আপলা সচিন’-কে দেখবে। সংগঠনে কোনও খুঁত রাখলে চলবে না। বিকেলে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্র্যাকটিসে পাওয়া গেল শরদ পওয়ারকে। এমসিএ আর বোর্ড একসঙ্গে নয় পওয়ার আর শ্রীনি দুই ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বী কি না একজোট হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ রোমান্সের শেষ দৃশ্যের সুষ্ঠু পরিচালনায়!
কী কী ঘটবে টেস্ট ঘিরে? সচিনের ওপর একটা ব্যতিক্রমী ভিডিও তৈরি হয়েছে। সেটা কোনও দিন নিশ্চয়ই দেখানো হবে। জাতীয় পতাকায় রঞ্জিত বিশেষ টি-শার্ট তৈরি হয়েছে সচিন ও তাঁর পরিবারের জন্য। সেটা উপহার দেওয়া হবে। কিন্তু ভারতীয় দল তাঁকে কী দেবে? টিম ম্যানেজার বললেন, প্লিজ ওটা গোপন থাক। ডারেন স্যামি— তিনিই বা কী দেবেন? আটচল্লিশের ওভালে ব্র্যাডম্যান যখন ব্যাট করতে নামেন, নর্ম্যান ইয়ার্ডলি গোটা ইংল্যান্ড টিমকে পিচের কাছে জড়ো করে থ্রি চিয়ার্স দিয়েছিলেন। স্টিভ ওয়-কে সিডনি মাঠে একই ভাবে গার্ড অব অনার দিয়েছিলেন সৌরভরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তেন্ডুলকরের জন্য কী ভেবে রেখেছে? ধোনিই বা তাঁকে কী ভাবে সম্মান জানাবেন? নাগপুরে সৌরভের শেষ টেস্টে তাঁকে অতর্কিত ক্যাপ্টেন্সি করতে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় ইনিংসের কয়েক ওভারে। এখানে কি সচিনকে টস করতে পাঠাতে পারেন? ভারত অধিনায়ক বললেন, “কিছু জিনিস সাসপেন্স থাক না!” ধোনির সাংবাদিক সম্মেলনে দশটার মধ্যে পৌনে দশখানা প্রশ্ন হল সচিনের ওপর।
টেস্ট ক্রিকেটের একশো ছত্রিশ বছরের ইতিহাসে কখনও একটা আস্ত টেস্ট ম্যাচ আর তাতে অংশগ্রহণকারী একুশ জন প্লেয়ার এমন গুরুত্ব হারিয়ে এক জন ব্যক্তিকে ঈশ্বরোচিত মর্যাদায় বসিয়ে দেয়নি। কারও জন্য হয়নি। ব্র্যাডম্যান না।
ভিভ না। লারা না। ওয়ার্ন না।

ওয়াংখেড়ের সচিন-মেজাজ। ছবি: উৎপল সরকার।
আজ পর্যন্ত হোস্ট ব্রডকাস্টিং চ্যানেলও কখনও বাইশ জন ভাষ্যকারকে নিয়ে একটা টেস্ট ম্যাচ কভার করতে নামেনি। সাধারণত নয়, সব সময়ই তাদের প্যানেল ঠিক থাকে। এমনকী প্রথম দিনে কে কে কখন বলবেন, সেই রুটিনও ঠিক হয়ে যায়। এ বার হচ্ছে না। নিয়মিত ভাষ্যকারদের বাইরেও আসলে স্টার স্পোর্টস নানান অতিথি আনছে। এক দিন শেন ওয়ার্ন। এক দিন স্টিভ ওয়। প্রথম দিন হিন্দিতে হয়তো হরভজন সিংহ। এক দিন অল্প সময়ের জন্য ভিভ। এক দিন স্টিভ ওয়! পুরো টেস্ট ওয়াসিম আক্রম।
দর্শকদের জন্যও আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। বিদেশের বড় বড় ম্যাচে যার প্রচলন রয়েছে, সেই গিগা-পিক্সেল পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতিটি দর্শককে ক্যামেরা ধরে রাখছে। একটা বিশেষ ওয়েব অ্যাড্রেসে লগ-ইন করে প্রতিটি দর্শক, সে তিনি মাঠের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, নিজের ছবির প্রিন্ট-আউট বার করতে পারবেন। ছবিটা রেখে দিতে পারবেন নিজের নাতি-নাতনিদের জন্য যে, সচিনের ফেয়ারওয়েল ম্যাচে আমিও ছিলাম!
সচিনের এই বিশেষ মুহূর্তটায় আমিও ছিলাম— এটা যেমন সংগ্রহ করে ফেলেছেন টেস্ট ম্যাচ কভার করতে আসা যাবতীয় সাংবাদিক। ওয়াংখেড়ের ভেতর দলে দলে এ দিন সচিনের সঙ্গে ছবি তোলার হুড়োহুড়ি। বিকেলে শিবনারায়ণ চন্দ্রপল যখন দ্বিতীয় বারের জন্য নেটে ব্যাট করতে ঢুকলেন, মনে হচ্ছিল সত্যি কী বৈপরীত্য। চন্দ্রপল দেড়শোতম টেস্টে নামার প্রাক অনুশীলনে, আর তাঁকে দেখার জন্য কি না নিজের দেশের সাংবাদিকেরাও নেই। আর সচিনের দু’শো ঘিরে গ্রুপ ছবি তোলার জন্য সাংবাদিক আর ফোটোগ্রাফারদের মধ্যে এমন ধাক্কাধাক্কি, গুঁতোগুঁতি আর চিৎকার যে, একটু হলেই সচিনের চোট লেগে যেত।
টেস্ট ম্যাচের আগের দিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে টানা দু’মিনিট কথা বলেছেন, এমন সাংবাদিক ভূ-ভারতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ম্যাচের আগের দিন মানে তেন্ডুলকর উধাও হতে শুরু করেন নিজের জগতে। তাঁর ভুরু কুঁচকে যায়। মুখচোখ থাকে টেনসড। নখ খুঁটতে দেখা যায়। শরীরী ভাষা অত্যন্ত পরিষ্কার থাকে যে, আমি কথা বলতেই চাইছি না। বুধবার যে তেন্ডুলকরকে দেখলাম তিনি বোধ হয় চব্বিশ বছর ক্রিকেট খেলা পূর্ণ করার লগ্নে মনোভাব সামান্য শিথিল করেছেন। নইলে জীবনের বিদায়ী ম্যাচ শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগে এত স্বাভাবিক আর হাসিখুশি রয়েছেন কী করে?
মনে হচ্ছে শেষ কয়েকটা দিন আর টেনশন না নিয়ে তিনি টেস্ট ক্রিকেট বস্তুটাকে উপভোগ করতে চান। আর তো এই সুযোগ জীবনে আসবে না। নইলে রাতে অনিল কুম্বলের দেওয়া টাইগার পটৌডি স্মারক বক্তৃতায় উপস্থিত থাকবেন কেন? চির কাল তো এ সব ম্যাচের আগের রাতের পার্টি আর সংবর্ধনার প্রস্তাবকে তিনি শক্তিশালী ব্যাকফুট পাঞ্চের মতো বাইরে পাঠিয়েছেন।

“দেখো কী পেয়েছি। আমার জীবনের সেরা কিংবদন্তি হয়ে থেকে যাওয়ার জন্য সচিনকে ধন্যবাদ।
সব সময় তোমাকে দেখে শিখে যাব,” বিশ্বকাপ জয়ের রাতের এক মুহূর্তের ছবির উপর সচিন তেন্ডুলকরের
বার্তাসহ ডিজিটাল অটোগ্রাফ টুইটার মারফত পেয়ে ধোনির প্রতিক্রিয়া। এই বার্তায় ধোনির উদ্দেশে সচিন
লিখেছেন, “প্রিয় মাহি, আমাদের যাত্রার মুহূর্তগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।” নীচে তাঁর সই।
গোটা পরিবার ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে দু’শো বন্ধু আসছে সচিনের। একাই টিকিট নিয়েছেন পাঁচশো। সেগুলো বণ্টনের দায়িত্ব অঞ্জলিকে দিলেও কোথা থেকে পাস তুলব, কখন যাব এ সব টেক্সট মেসেজ তো তাঁর কাছেই আসছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিংয়ের চেয়েও বোধহয় সেই টিকিটপ্রার্থীদের ঠিকঠাক বন্দোবস্ত করাটা বেশি চাপের! এই ওয়াংখেড়েতেই কি না সচিনের মতো শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সুনীল গাওস্কর। ডেফ্রিটাসের বলে কম রানে বোল্ড হয়ে ক্রিকেটজীবন শেষ করেন। সমাপ্তি মোটেও সুখের হয়নি। যেহেতু ভারত ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। তার বহু বছর পর কপিল দেব দুঃখের সঙ্গে বলেছিলেন, “বন্ধুদের কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের চাহিদা মেটাতে গিয়ে ম্যাচের মনঃসংযোগ থেকে আমি অনেকটা সরে গেছিলাম। সতেরোটা ওয়ার্ল্ড কাপ সেমিফাইনালের টিকিট তোলা কী প্রচণ্ড ঝকমারি।” সচিনের সেখানে পাঁচশো। কপিলের মতো কোনও শোকগাথায় তিনিও পড়বেন না তো?
এমনিতে যত সময় যাচ্ছে, ততই শাদির মেহফিলকে ছাপিয়ে বিস্তৃত হয়ে পড়ছে বিষণ্ণতার চোরা স্রোত। বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার আর অখণ্ড ক্রিকেটপ্রেমী সেলিম খান বলছিলেন, “এত বড় প্লেয়ার চলে যাচ্ছে, যার সঙ্গে বলিউডে দিলীপকুমার বাদে কারও তুলনা হয় না। দিলীপসাব সেই ১৯৪২ সালে আবির্ভাব থেকে শেষ দিন পর্যন্ত পয়লা নম্বর। সচিনও তাই। ওর জন্য বিদায়বেলায় সবার পক্ষ থেকে একটাই সংলাপ— তুম য্যায়সা কোই জিন্দেগি মে দোবারা আয়েগা নেহি।” স্বয়ং দিলীপকুমার। পালি হিলের বাড়িতে ফোন করে জানা গেল, প্রিয়তম ক্রিকেটারের বিদায়ে তিনিও মর্মাহত। নব্বই প্লাস বয়সেও সচিন সংক্রান্ত বিদায়ী খবর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ছেন।
প্রশ্ন হল, বিদায়ী শোকের চিতা কত দিন জ্বলবে? বিনোদন বা স্পোর্টসের দুনিয়ায় কি কারও জন্য চিরকালীন জ্বলে? জাভেদ মিয়াঁদাদ যেমন বলে দিয়েছেন, ভারতীয় দলে এত সব নতুন ছেলে এসে গিয়েছে যে, সচিনকে তারা মানুষের স্মৃতি থেকে সরিয়ে দেবে।
সচিন সাধারণ ভাবে মিয়াঁদাদের পঙক্তিতে পড়েন না। তিনি নিছক প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার নন, চলমান আধুনিক ভারতও। সচিনের এক-একটা সেঞ্চুরি ভারতবাসীর জীবনে এক-এক রকম তাৎপর্যের। শুধু তাঁর জন্যই বিহারের সুধীর নামক এক সমর্থক সারা গায়ে ভারতীয় জার্সি এঁকে পিঠের পিছনে লিখে রাখে দশ নম্বর। আর সারা পৃথিবী ঘোরে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। সচিনের অবসর এই ছেলেটিকে হয়তো পক্ষাঘাতগ্রস্তই করে দিল।
ওয়াংখেড়ে গেটের বাইরে এ দিন একই রকম ভারতীয় জার্সিতে সজ্জিত এক সমর্থককে দেখলাম। তফাতের মধ্যে তাঁর পিঠের পিছনে দশ নয়, সাত লেখা। অর্থাৎ সচিন থাকতে থাকতেই তাঁর প্রিয়তম সমর্থকের প্রতিদ্বন্দ্বী হাজির। এ বোঝাই যাচ্ছে ধোনির ফ্যান। হয়তো এ-ও আগামী দিনে সাত নম্বর পরে সারা পৃথিবী ঘুরবে। সময় তো এ ভাবেই এগিয়ে যায়। তারকাদের ছবিগুলোও এ ভাবে বদলে বদলে যায়। ক্যালেন্ডারে নতুন ছবি বসে। পুরনো ছবি চলে যায় পেছনের ঘরে। বেঙ্গালুরুর সাংবাদিকদের অনেকেই যেমন এ দিন বলাবলি করছিলেন, মাত্র একটা মরসুম আগে অবসর নেওয়া রাহুল দ্রাবিড়ের চেয়ে এখন ওখানে বিরাট কোহলির চাহিদা অনেক বেশি। রাহুলকে লোকে বেশি সম্মান করে। কিন্তু পাগলামিটা করে বিরাটের জন্য।
জীবন কি অবসরপ্রাপ্ত তেন্ডুলকরের জন্যও এমন নিষ্ঠুর বাস্তব নিয়ে অপেক্ষা করে থাকবে? কেউ জানে না। এখন জানতেও চাইছে না। অন্তত এই সপ্তাহ যে আবেগের পরশমাখা রোদ্দুরের। যুক্তির মন খারাপ করে দেওয়া বিকেলের নয়!

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.