বুদ্ধগয়া সাজাতে তাইল্যান্ড থেকে এল ২৮৯ কেজি সোনা
সোনা ভর্তি বাক্স। তাও আবার এক-আধটা নয়, একেবারে তেরোখানা। প্রহরী সমেত এই সোনা সোজা ব্যাঙ্কক থেকে উড়ে এসেছে বুদ্ধগয়ায়। আর তা নিয়েই এখন সাজো সাজো রব মহাবোধি মন্দিরে।
সোনা নিয়ে হইচই কম হয়নি উন্নাওয়েও। সাধু শোভন সরকারের স্বপ্নে দেখা হাজার টন সোনার খোঁজ পেতে শুরু হয়ে যায় খোঁড়াখুড়িও। তবে এখনও উন্নাওয়ে সোনা অধরাই। বুদ্ধগয়ায় অবশ্য খোঁজাখুঁজির প্রশ্নই নেই। বাক্স-প্যাঁটরা এসে পৌঁছে গিয়েছে নির্বিঘ্নেই।
মহাবোধি মন্দিরের চূড়া সোনার চাদরে মুড়ে ফেলবেন, গত বছরই ঠিক করে ফেলেন তাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল অতুল্য। কিন্তু ছাড়পত্র পেতে পেতেই সময় চলে গেল এত দিন। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সবুজ সঙ্কেত মিলতেই ভক্তদের দান করা ২৮৯ কিলোগ্রাম সোনা, অভিজ্ঞ কর্মী ও দু’ডজন রক্ষী সবশুদ্ধু বিশেষ বিমানে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজা। ১৫০০ বছরের পুরনো মন্দির তাই এখন মুড়ে ফেলে হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।
বৌদ্ধদের পবিত্র তীর্থস্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই বুদ্ধগয়া। এখানেই বোধিলাভ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরকে নতুন রূপে দেখতে এখনও কিছু দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির এক সদস্য অরবিন্দ সিংহ। ১৩ বাক্স সোনা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। তাই বিদেশী প্রহরীদের সঙ্গেই স্থানীয় রক্ষীও মজুত করেছে প্রশাসন। এমনকী কাজ চলাকালীন গোটা প্রক্রিয়া ভিডিও করে রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন অরবিন্দ। আপাতত মন্দিরের ভিতরেই রাখা রয়েছে এই যখের ধন। গত জুলাই মাসেই একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল মহাবোধি মন্দির। কেউ নিহত না হলেও শান্তিকামী সন্ন্যাসীদের মন্দিরে পড়ে রক্তের ছাপ। অশান্তি ভুলে চার মাসের মাথায়ই নতুন হুজুগে মেতে উঠেছে বুদ্ধগয়া।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.