|
|
|
|
উন্নয়নের কথা ভেবে বরাদ্দের দাবি মানিকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যগুলিকে ঠকানো নয়, রাজ্যের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেই চতুর্দশ অর্থ কমিশন যেন রাজ্যগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করে। কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে এই প্রস্তাব দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
চতুর্দশ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিরা আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে আজ এক বৈঠকে মিলিত হন। চতুর্দশ অর্থ কমিশন নিয়ে মোট চারটি কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের অভিজ্ঞতা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত দু’টো অর্থ কমিশনের সিদ্ধান্ত যে ত্রিপুরার মতো রাজ্যের পক্ষে সহায়ক হয়নি, উল্টে রাজ্যকে বিপদাপন্ন করে তুলেছে, সে বিষয়ে তথ্য ও নথিপত্র দিয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি।” ২০১৪-১৫ অর্থ বছর ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদের শেষ বছর। হিসেব করার ক্ষেত্রে ওই বছরকেই ‘ভিত্তিবর্ষ’ ধরার জন্য চতুর্দশ অর্থ কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার। |
|
চতুর্দশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ওয়াই ভি রেড্ডির সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
মানিক সরকার। বুধবার আগরতলার রাজ্য সচিবালয়ে। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী। |
ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের ধরা ‘ভিত্তিবষর্’ কী ভাবে রাজ্য সরকারকে সমস্যায় ফেলেছে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, বিশেষ করে পেনশন প্রাপক, সরকারি কর্মচারীদের অসুবিধা হয়েছে।
ষষ্ঠ পে কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা যে সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তা রাজ্যের কর্মচারীদের দেওয়া সম্ভব হয়নি। ‘গ্যাপ গ্রান্ট’-এর মাধ্যমে ‘গ্যাপ’ কমার বদলে বেড়ে যাচ্ছে। মানিকবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দেশের প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব সুবিধা অসুবিধাগুলিকে বিবেচনা করে কমিশন যেন অর্থ বরাদ্দে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার উপরেই আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।’’
রাজ্যগুলি থেকে সংগৃহীত কেন্দ্রীয় করের ৩২ শতাংশের বদলে ৫০ শতাংশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ত্রিপুরার সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে ৪৮,২৯১ কোটি টাকা। পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে ২৮৯০ কোটি এবং অন্যান্য খাতে ১৫,৯২৩ কোটা টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থ কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।’’ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ওয়াই ভি রেড্ডি ত্রিপুরার ‘আর্থিক ব্যবস্থাপনা’-য় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। |
|
|
|
|
|