বাজারে অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করা হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে অভিযান চালালেন পুরসভার ছয় তৃণমূল কাউন্সিলর। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরাও। তবে সেখানে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। ব্যবসায়ীরা জানান, সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো টাকা দরে ৫০ কেজির বস্তা কিনে ১৩ টাকা কেজি দরে কীভাবে বিক্রি করা সম্ভব। তাঁদের দাবি, যদি সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করতে হয় তাহলে সেই দামের অনুপাতে কেনার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া জোগান স্বাভাবিক করার উপরও জোর দেন তাঁরা। তৃণমূল কাউন্সিলর অসীমা চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিদের নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কালোবাজারি বন্ধ করতেই তাঁদের এই প্রয়াস। রমাপ্রসাদবাবু বলেন, “এই সুযোগে অনেক আলু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করার চেষ্টা করছেন। তা থেকে তাঁদের বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
|
ঋণ রেখে গিয়েছে বিগত বোর্ড, নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
আগের বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরবোর্ড ৮১ কোটি টাকার ঋণভার তাঁদের উপরে চাপিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন দুর্গাপুরের মেয়র তৃণমূলের অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। বুধবার তিনি অভিযোগ করেন, এর মধ্যে পুরসভার পূর্ত, নিকাশি-সহ নানা বিভাগের কাছে বিভিন্ন সংস্থা টাকা পাবে। তাঁর আরও দাবি, গত বোর্ডের আমলে যে শপিং মলটি তৈরি হয়েছিল সেখানেও ভাড়া, বিদ্যুতের বিল বাবদ প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে। তবে তাঁরা ক্ষমতায় আসার পরে ৫১ কোটি টাকা ঋণ মিটিয়েছেন বলে জানান মেয়র। এ ছাড়াও পুরসভার আয় বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান অপূর্ববাবু। তিনি জানান, ২০১২-১৩ বর্ষে পুরসভা সম্পত্তি কর হিসেবে ৯ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা তুলেছে। চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ৬ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। লাইসেন্স ফি হিসেবে গত বার ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা উঠেছিল, এ বার এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ টাকা তোলা হয়েছে বলে জানান তিনি। গত পুরবোর্ডের মেয়র সিপিএমের রথীন রায় অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তিনি জানান, লিখিত ভাবে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ সব অভিযোগের জবাব দেবেন। |