কলে জল নেই শ্রীপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
শ্রীপুরে পিএইচই প্রকল্প থেকে জল সরবরাহের কাজ শুরু হয়নি। ছবি: বাপি মজুমদার। |
পাম্প হাউস থেকে শুরু করে রিজার্ভার সবই রয়েছে। হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও। রয়েছে জল সরবরাহের পাইপলাইন সহ ট্যাপকলও। কিন্তু জল পড়ে না। দেড় কোটি টাকা খরচ করে প্রকল্প তৈরি হয়েছে মালদহের রতুয়ার শ্রীপুরে। কাজ শেষের পর দু’বছর কেটে গেলেও তা চালু না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর সূত্রে জানা যায়, বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে শ্রীপুর এলাকায় কয়েক বছর আগে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ার কাজ শুরু হয়। দু’বছর আগে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের সব কাজ শেষ করে ফেলা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ প্রকল্পটি পরীক্ষামূকভাবে চালুও করা হয়। কিন্তু ওই সময়েই ত্রুটি ধরা পড়ার পর বলা হয় যে দ্রুত তা ঠিক করে প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু তা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের দেওয়া হাতেগোনা কয়েকটি অগভীর নলকূপ রয়েছে। কিন্তু জলস্তর নেমে যাওয়ায় জল ওঠে না। জলে প্রচণ্ড আয়রন থাকায় সারা বছর পেটের রোগে ভুগতে হয়। তাই এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ে তুলতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। প্রকল্প চালু হলে শ্রীপুর সহ সংলগ্ন রতনপুর, বল্লভপুর, আসকাপাড়া, মনোহরপুর সহ কয়েকটি এলাকার ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। শ্রীপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন, “এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত যাতে চালু হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন। দেখি কী হয়!”
|
২৬ নভেম্বর মালদহে মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
২৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফরে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এক দিনের সফর ঘিরে প্রশাসনে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ওই দিন দুপুরে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী মালদহে আসবেন। জেলার নানা দফতরের কর্তার সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। পরে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ২৬ নভেম্বর এক দিন মালদহ সফর প্রায় ৯০ শতাংশ চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী সফরের সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি।” মালদহ জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাদের মৌখিক ভাবে সফরের বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু লিখিত নির্দেশ এখনও আসেনি। আমরা প্রস্তুত।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হেলিপ্যাড থেকে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে যাবেন। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক হবে। তার পরে মালদহ কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করবেন। এর মাঝে পানীয় জলের প্রকল্প, সংখ্যালঘুদের জন্য হস্টেল-সহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়াম ও মালদহ কলেজ মাঠ ঘুরে দেখেন। এখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জে যেতে পারেন। তবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
|
দিনহাটায় গোলমাল
নিজস্ব সংবাদাতা • দিনহাটা |
বিএডিপি প্রকল্পে রাস্তা তৈরির টেন্ডার ফর্ম কেনার আবেদনপত্র তোলা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল দিনহাটা ১ ব্লকে। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় দুই জখমকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। প্রশাসনের কর্তারা দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে ফর্ম কেনার আবেদনপত্র বিলি শুরু করেন। এ দিন বিএডিপি প্রকল্পে এলাকায় ৬টি রাস্তা তৈরির ফর্ম বিলির বন্দোবস্ত করা হয়। ওই ফর্ম তুলতে বাধা দেবার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারদের সঙ্গে কিছু যুবকের গোলমাল বাঁধে। ওই যুবকেরা তৃণমূল সমর্থক বলে অভিযোগ। দিনহাটার তৃণমূল নেতা অসীম নন্দী ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন। দিনহাটা ১ যুগ্ম বিডিও ভারতী চিকবড়াইক বলেন, “দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হয়েছে।”
|
বধূর দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
শোওয়ার ঘর থেকে এক বধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বধূর পরিবারের তরফে অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রাড়িয়াল এলাকায় সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম দীপা দাস (৩২)। ঘটনার পর স্বামী বিকাশ দাস-সহ অভিযুক্ত শ্বশুর, শাশুড়ি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ১৩ বছর আগে রাড়িয়ালের বিকাশ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় চাঁচলের মালতিপুরের দীপাদেবীর। তাদের ৩ সন্তান রয়েছে। মৃতার দাদা শ্যামল দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত।
|
আগুন থেকে রক্ষা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
বাসিন্দাদের চেষ্টায় আগুন থেকে বাঁচল ৩টি কিশোর ও শিশু। সোমবার বালুরঘাট থানার পার পতিরাম এলাকার ঘটনা। এলাকার বসিন্দা নিরঞ্জন প্রসাদ ও স্ত্রী ঘরে ৩ সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে রাত ১০টা নাগাদ জলসা দেখতে যান। তার আগে উনুনে ভেজা কাঠ শুকোতে দেন। তা থেকে আগুন গোয়ালঘরে ছড়ায়। প্রতিবেশীরাই ঘুমিয়ে থাকা বাচ্চাদের উদ্ধার করেন। |