খেজুর ও তালের রস থেকে তাড়ি তৈরির কারখানার এক শ্রমিককে খুনের অভিযোগে কারখানার মালিক ও এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামে মঙ্গলবার সকালে কারখানা লাগোয়া একটি পুকুরে ওই শ্রমিকের রক্তাক্ত দেহ ভাসতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। নিহতের নাম কুশিরুদ্দিন আহমেদ (৩২)। বাড়ি পৌড়িয়া এলাকায়। গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ধৃতরা হল কারখানার মালিক তপন দাস ও কর্মী ধীরেন মণ্ডল।
মজুরির টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। তাড়ির কারখানাটি বেআইনিভাবে চলছিল বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ওই কারখানা ছাড়াও এলাকায় একাধিক অবৈধ মদ ও চোলাইয়ের ঠেক রমরমিয়ে চললেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে চাঁচলের আইসি জয়ন্তলোধ চৌধুরী বলেন, “অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। নেশার পানীয় তৈরির ওই কারখানাটি বৈধ কি না তা আবগারি দফতরের দেখার কথা।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত মজুরি না দেওয়ায় নিহত ব্যক্তি সম্প্রতি কাজ ছেড়ে ইঁটভাটায় কাজে যোগ দেন। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর দুই নাবালক ছেলে রয়েছে। কিন্তু খেজুর ও তালগাছ থেকে রস সংগ্রহে দক্ষ কুশিরুদ্দিনকে ফের বেশি টাকা মজুরির দেওয়ায় তিনি সেখানে ফের কাজে যোগ দেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দেড় মাস ধরে কাজ করলেও ফের তাকে ঠিকঠাক মজুরি দেওয়া হত না। মজুরির টাকা নিয়ে হামেশাই তাঁর সঙ্গে মালিকের বিবাদ হত। গত রবিবার সকালে কাজে যোগ দিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। |