ভরসন্ধ্যায় জমজমাট বাজার এলাকায় বাইক আরোহী এক তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার চকভৃগু এলাকায়। পুলিশ জানায়, জখম প্রধানের নাম লগিন দাস। তিনি বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক তথা ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর পেটে গুলি লেগেছে। অন্য গুলিটি গলা ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, ছক কষেই লগিনবাবুর উপরে হামলা হয়েছে। তবে কী কারণে হামলা হয়েছে তা রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুজন দুষ্কৃতী পেছন থেকে লগিনবাবুকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোঁড়ে। একটি গুলি গলা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। অন্যটি পেটে লেগেছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, অন্ধকারে লগিনবাবু কাউকে চিনতে পারেননি।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে যান তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে যা মনে হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। লগিন দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তবে কী কারণে লগিনকে গুলি করা হল, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।” গত পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দলত্যাগ করে ভাটপাড়া অঞ্চলের তিনবারের কংগ্রেস প্রধান লগিনবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। ভোটে জিতে ফের তিনি ভাটপাড়ার প্রধান নির্বাচিত হন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা লগিনবাবু পেশায় ঠিকাদার ও প্রোমোটারির সঙ্গেও যুক্ত। তিনি জেলা কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনেরও সম্পাদক। তিনি ফলে ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও গোলমালের জেরে তিনি আক্রান্ত হলেন কি না, তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ঘটনার একটু আগে লগিনবাবুকে বাজার এলাকায় দেখা যায়। সেখান থেকে বার হওয়ার মুখে হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “ভরা বাজারে একজন নেতার উপরে গুলি চালানোর ঘটনা আতঙ্কের।” |