যৌথ উদ্যোগে সব জেলা হাসপাতালে এমআরআই
ক্ষমতায় আসার পরেই বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে এমআরআই করানোর জন্য রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার রাজ্যের সব জেলা সদর হাসপাতালেই এমআরআই যন্ত্র চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতাই বীরভূমের ইলামবাজারে এক প্রশাসনিক বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেন। জেলা হাসপাতালে ওই যন্ত্র চালু করা হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে।
মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের জটিলতা পরীক্ষা করার জন্য এমআরআই যন্ত্র অপরিহার্য। অথচ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলি ছাড়া রাজ্যের আর কোনও সরকারি হাসপাতালেই ওই যন্ত্র নেই। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার এম আর বাঙুর হাসপাতালে এমআরআই যন্ত্র বসিয়ে জেলা স্তরে এই প্রকল্পের সূচনা হবে। তার পরে ধাপে ধাপে সব জেলা হাসপাতালেই এই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাবার্তা পাকা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, এমআরআই যন্ত্র চালু করার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও ভাবেই যাতে টালবাহানা শুরু না-হয়, সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তাঁদের সতর্ক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “এসএসকেএমে যন্ত্র কেনার পরেও যে-ভাবে তা ফেলে রাখা হয়েছিল, তাতে মুখ্যমন্ত্রী খুবই বিরক্ত। জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালে এমআরআই যন্ত্র চালু করতে গেলে বহু বেসরকারি ক্লিনিক তা আটকানোর চেষ্টা করবে। কারণ, তাতে তাদের একচেটিয়া ব্যবসা মার খাবে। এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে গিয়ে মমতা যখন এমআরআই-এর জন্য রোগীর ভিড় দেখেছিলেন, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমেও তখন পৃথক কোনও এমআরআই ব্যবস্থা ছিল না। এসএসকেএমের রোগীদেরও ওই পরীক্ষার জন্য বিআইএন-এ পাঠানো হত। তাই সেখানে উপচে পড়ত ভিড়। পরীক্ষার তারিখ পেতে কোনও কোনও ক্ষেত্রে আট-ন’মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেত। এই পরিস্থিতিতে এসএসকেএমে পৃথক এমআরআই যন্ত্র বসানোর জন্য সাড়ে ন’কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেনার পরেও সেই যন্ত্র রোগীদের কাজে লাগাতে সময় লেগেছিল দেড় বছরেরও বেশি! কখনও যন্ত্র বসানোর ঘরে বিদ্যুৎ-সংযোগের সমস্যা, কখনও টেকনিশিয়ানের অভাব, কখনও বা ‘রেট চার্ট’ না-পৌঁছনোর মতো নানা কারণে এমআরআই যন্ত্র চালু করার বিষয়টি থমকে ছিল সেখানে।
জেলা হাসপাতালে যাতে ওই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না-হয়, সেই ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, “কোনও জেলায় সরকারি হাসপাতালে এমআরআই-এর ব্যবস্থা না-থাকায় এত দিন রোগীদের অনেক বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হত। অথবা তাঁদের ছুটতে হত বড় শহরের মেডিক্যাল কলেজে। জেলা হাসপাতালে এমআরআই চালু হলে সেই ভোগান্তি কমবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.