দুই ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাকে দলে রাখতে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দুই ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাকে দলে রাখতে মরিয়া জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের একাংশ। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার জলপাইগুড়িতে এসে প্রাক্তন জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা জেলা কংগ্রেসের তফশিলি জাতি ও উপজাতি সেলের আহ্বায়ক সন্দীপ মাহাতোর সঙ্গেও কথা বলেন। জেলা কংগ্রেসের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈকতবাবু ওসন্দীপবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রায় দশ বছর ধরে কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের জেলার দায়িত্ব সামলানো সৈকতবাবু দল বদল করলে ওই দুই সংগঠনে ‘ধস’ নামতে পারে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের আশঙ্কা। শহরের অবাঙালি ভোটারদের মধ্যে সন্দীপবাবুর সাংগঠনিক প্রভাব রয়েছে। চলতি মাসেই কংগ্রেসের দখলে থাকা শহরের একটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হবে। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস থেকেই লোকসভা ভোটেরও প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতারা।
আগামী বৃহস্পতিবার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে শহরের থানামোড়ে প্রকাশ্য সভায় দুই নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা। এ দিন বিশ্বরঞ্জনবাবুর সঙ্গে কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ সদস্য মোহন শর্মাও সৈকতবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ও টেলিফোনে এদিন তিন দফায় সৈকতবাবুর সঙ্গে কথা বলেন। বিকালে সৈকতবাবু বলেন, “দেবপ্রসাদবাবু, বিশ্বরঞ্জনবাবু দুজনেই আমার শ্রদ্ধেয়। ওঁরা আমাকে কংগ্রেসে থাকার অনুরোধ করেছেন। আমি সিদ্ধান্ত অবশ্যই বিবেচনা করব।” যদিও ‘এতদূর’ এগিয়ে সিদ্ধান্ত বদল সম্ভব নয় বলে সৈকতবাবু ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। |