এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক নাবালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে অশোকনগর থানার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকাকে মঙ্গলবার অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। ধৃত নাবালককে মঙ্গলবার সল্টলেকের জুভেনাইল আদালতে তোলা হলে তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। সোমবার রাতে অশোকনগর থানায় ধৃতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার মা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর সকালে ওই নাবালিকার মা ও বাবা খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মেয়েটি মা-বাবাকে টিফিন দিতে যাওয়ার জন্য টিফিন বক্সে খাবার ভরছিল। অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত নাবালক ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। কাউকে কিছু না জানানোর জন্য সে ওই নাবালিকাকে হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। নাবালিকা প্রথমে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়নি। পরে তার ব্যবহারে পরিবর্তন দেখে মা তাকে জোর করলে সে সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপর এলাকায় জানাজানি হয়। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষ থানায় অভিযোগ না জানিয়ে মিটমাট করে নেওয়ার জন্য ওই নাবালিকার পরিবারকে চাপ দেন। যদিও এলাকারই কিছু যুবকের উদ্যোগে পরিবারটি থানায় অভিযোগ জানাতে সমর্থ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মাঝেমধ্যে শ্রমিকের কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। সে নেশাভাঙও করে। নাবালিকার পরিবারটি চাইলে তাদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
এক বাংলাদেশি যুবককে বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম বিষ্ণু দাস। সোমবার রাতে বিএসএফের ২৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা বাগদা থানার বয়রা এলাকা থেকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ এবং বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি কাজের টাকা লেনদেন নিয়ে জসীমের সঙ্গে বিবাদ বাধে বিষ্ণুদেবীর ছেলে পরির। প্রতিশোধ নিতে স্থানীয় সঞ্জীব মণ্ডল নামে এক যুবক কাঁটাতারের পাশের খেতে কাজ করতে গেলে তাঁকে অপহরণ করে বাংলাদেশে চলে যায় জসীমের লোকজন। এরই পাল্টা প্রতিশোধ নিতে জসীমকে অপহরণ করে পরি ও তাঁর লোকজন। খবর পেয়ে বিএসএফ ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গত ১০ নভেম্বর রাতে জসীমকে উদ্ধার করে। সেই সময় ওই বাড়িতে আর কেউ ছিল না। একই দিনে বাংলাদেশের জওয়ানেরা সঞ্জীবকে উদ্ধার করে। এরপরই বিএসএফ এবং বিজিবি ফ্ল্যাগ মিটিং করে দুই যুবককে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর সোমবার রাতে বিএসএফ ওই বাড়িতে পুনরায় অভিযান চালিয়ে ওই মহিলাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। মহিলার স্বামী ও ছেলে পরির সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
|
শাসনের খড়িবাড়ি থেকে সফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বারাসত থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরি বলেন, “ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে।” শাসন-খড়িবাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে সফিকুলের নামে। কিছুদিন আগে খামার গ্রামে বোমাবাজি ও গুলি চালনার ঘটনায়ও সফিকুলের নাম জড়িয়ে যায়। প্রথমে সিপিএম করলেও পরে সফিকুল তৃণমূলে যোগ দেয়। তবে বছর দেড়েক আগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল।
|
সম্প্রতি তিনদিনব্যাপী ৫৯ তম রাজ্য বিদ্যালয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা হয়ে গেল হাওড়ার জয়পুরে। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ ১৬টি জেলার ১৬টি মহিলা এবং ১৬টি পুরুষ দল যোগ দেয়। খেলার উদ্বোধন করেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়পুর কলেজের অধ্যক্ষ সৌমিত্র সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিঠু বারুই প্রমুখ। মহিলা বিভাগে ফাইনালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১২-৪ গোলে উত্তর ২৪ পরগনাকে হারায়। উওম্যান অফ দ্য ম্যাচ এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা হন বিজয়ী দলের রুম্পা খাতুন এবং অঞ্জনা বাগ।
|
উত্তর ২৪ পরগনার কেষ্টপুরের এক বাসিন্দার দেহ মিলল বর্ধমানের একটি হোটেল থেকে। সোমবার রাতে উদ্ধার হয়েছে দেহটি। মৃতের নাম বিপুল কারাত (৩৭)। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার তিনি বর্ধমানে কাজের সূত্রে এসে ওই হোটেলে ওঠেন। মৃতের এক আত্মীয় মহেশ কুমারের অভিযোগ, বিপুলবাবুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের পরে প্রয়োজনে খুনের মামলা দায়ের হবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
|
ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল হাওড়া সিটি পুলিশ। মঙ্গলবার, শিবপুর থেকে। ধৃতদের নাম গৌরব সুরানা এবং অলোক গৌড়িয়া। ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ জানান, ধৃতেরা ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হাওড়া ময়দান শাখা থেকে ভুয়ো কোম্পানির কাগজ দেখিয়ে ৯০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন তা শোধ করেনি। সন্দেহ হওয়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, গৌরব ও অলোক কলকাতা ও হাওড়ার বহু ব্যাঙ্কে এ ভাবে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি ও দু’জনে আন্তঃরাজ্য ব্যাঙ্ক জালিয়াতি চক্রের অন্যতম পাণ্ডা। তার পরেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই দুই ব্যক্তি বিভিন্ন নামে বহু ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করেছে। ৪ কোটি টাকার জালিয়াতির কাগজ মিলেছে। |