পরিচারিকার কাজ করে তিল তিল করে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা জমিয়েছিলেন মা। বিয়ের কথা যখন প্রায় পাকা, সেই সময়েই বাড়িতে হানা দিয়ে সব লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার ২ নম্বর রাজীব কলোনিতে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
অসুস্থ স্বামী যতীন ঢালি ও মেয়ে রূপালিকে নিয়ে তাকেন কমলাদেবী। অসুস্থতার জন্য দিনরাত বারান্দায় শুয়ে থাকেন যতীন। মেয়েকে নিয়ে রোজ ভোরের ট্রেনে দমদমে পরিচারিকার কাজ করতে যান কমলাদেবী। মা-মেয়েতে কাজ করে যে টাকা রোজগার করতেন তার বেশিরভাগটাই মেয়ের বিয়ের জন্য সঞ্চয় করে রাখতেন কমলাদেবী। সেই টাকা থেকে মেয়ের বিয়ের জন্য কিছু গয়নাও তৈরি করেছিলেন। কিছু টাকা বিমা করেছিলেন, সম্প্রতি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় যা প্রায় লাখ টাকায় দাঁড়ায়। মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকায় সেই সব টাকা বাড়িতেই রেখেছিলেন কমলাদেবী।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে কমলাদেবী জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো রবিবারেও তাঁরা মা-মেয়েতে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী বাইরেই শুয়েছিলেন। তাঁর বালিশের নীচে ঘরের চাবি ছিল। রাতে বাড়ি ফিরে তাঁরা বুঝতে পারেন দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে সব লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে। রূপালি বলেন, “বাবা অসুস্থ হওয়ার পরে মা ও আমার ঘাড়ে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে। কাজ করে পাওয়া টাকা আমার বিয়ের জন্য একটু একটু করে জমাচ্ছিল মা। ওরা সব লুঠ করে নিয়ে গেল।”
মা ও মেয়ের সন্দেহ, কলোনিরই কেউ তাঁদের বাড়ি না থাকার সুযোগ নিয়ে চাবি চুরি করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। |