বামেরা যখন নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকাতে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে নিয়ে জোট করার চেষ্টা করছে, সেই সময় মোদী প্রসঙ্গে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করলেন প্রাক্তন ভূমি ও ভূমি-রাজস্ব মন্ত্রী এবং সিপিএম বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা।
২০০৮ সালে হাড়োয়ায় আলাউদ্দিন মোল্লা নামে এক সিপিএম নেতা দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন। মঙ্গলবার তাঁরই স্মরণসভা গিয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। কিন্তু সভায় তাঁর বক্তৃতার বেশিরভাগ জুড়ে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার নিয়ে সতর্ক করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা যখন মোদীকে ঠেকাতে ১৮-১৯টা ধর্ম নিরপেক্ষ দলকে নিয়ে জোট করার চেষ্টা করছি। সেই সময় দিদিমণি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আঁচলের মধ্যে তাস লুকিয়ে রেখেছেন। লোকসভা ভোটের পরে মোদির যদি ২০-২২ টা আসন কম পড়ে তখন দিদি তাঁর আঁচলের তলা থেকে তাস বের করে মোদির বিজেপিতে যাবেন। আগেও দু’বার গিয়েছেন। সে জন্যই তো মোদি এখন থেকে দিদির প্রশংসা করছেন।” |
মোদির পাশাপাশি রাজ্যে সিভিক পুলিশ নিয়োগ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নেন রেজ্জাক। তাঁর কথায়, “আর কিছুদিন পরে সিভিক পুলিশের কাজ থাকবে না। মাদ্রাসার অনুমোদন দিলেও কোনও টাকা দেওয়া হবে না। চাকরির নামে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।” রাজ্য সরকার তথা দিদি এমন করেই সকলকে নাচাচ্ছেন দাবি করে রেজ্জাকের বক্তব্য, “ওরা যে ভাবে পিটিয়ে মেরে পঞ্চায়েত দখল করল, তাতে মানু, বুঝে গিয়েছে যে চোর তাড়িয়ে তারা ডাকাত এনেছে। এখনও একটা কারাখানা হল না। যে ভাবে তৃণমূলের দালালরা সব কিছুতেই টাকা নিতে শুরু করেছে তাতে শিল্পপতিরা বুঝেছে ভিক্ষা দিতে হবে না আগে কুকুর ঠেকাই। সে জন্যই তাঁরা রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন।”
তৃণমূলের সমালোচনার পাশপাশি এ দিন ফের তাঁর গলায় উঠে আসে আত্মসমালোচনা। তিনি বলেন, “সিপিএম গরিবের পার্টি, ইটখোলার মালিক কিংবা মাস্টারদের পার্টি নয়। আমাদের লোকজনদের বড়লোকদের পিছু ঘুর ঘুর করতে দেখে গরিব মানুষ আমাদের ছেড়ে গিয়েছিল। তাঁদের বুঝিয়ে এক করে আনতে গেলে পেটানোর ভয় পেয়ে কলকাতায় বসে থাকলে হবে না, নেতাদের গ্রামে যেতে হবে।” |