বর্তমান বনাম প্রাক্তন। অধীরের পাল্টা মুকুল।
দুই রেল মন্ত্রীর তরজা শুরু আর ঘণ্টা কয়েকের অপেক্ষা। অধীরের খাস তালুকে মুকুলই সেরা বাজি বলে মনে করছে শাসকদল। আর তাই তাঁকে এনেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চলেছে তৃণমূল।
অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বরাবরই আদায়-কাঁচকলায়। তৃণমূলের সেই ‘চোখের বালি’র দৌলতেই টানা তিন বার বিরোধী শূন্য ভাবে কংগ্রেস বহরমপুর পুরসভা দখলে রেখেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্য জুড়ে জোট হলেও ২০০৫ সালে এবং ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরী নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত, পুরসভা ও জেলা পরিষদ ভোটে তৃণমূলের বিজয় রথের গতি অব্যাহত থাকলেও মুর্শিদাবাদের সীমান্তে পলাশির প্রান্তরে এসে বরাবর চাকা থমকে গিয়েছে। |
ফলে এ এরকম রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে এ বারের বহরমপুর পুরভোট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, “বহরমপুরের মানুষের কাছে আমাদের আবেদন ২৮টি আসনের মধ্যে আমাদের ১৫টি দিন। আর কংগ্রেসকে দিন বাকি ১৩টি। তাহলে আমার দু’ মাসের মধ্যে বহরমপুর পুরসভাকে ‘বি’ থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করে ২ বছরের মধ্যে যে উন্নয়ন ঘটাব তা কংগ্রেস ১৫ বছর করতে পারেনি।” করের প্রসঙ্গে হুমায়ুনের ‘টোপ’, “কোনও পুরসভার পক্ষেই কর বসানোর ক্ষমতা নেই। মিথ্যা প্রচার করছে বিরোধীরা।” তবে অধীর এ দিন কিস্তি মাত করেন কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার সভায় মৃত কামাল শেখের বড়দা রশিদ শেখকে সামিল করে। কামাল শেখ খুনের ঘটনায় পুলিশের কাছে এফআইআর করেছিলেন তাঁর বড়দা। সেই মামলায় অধীর চৌধুরীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। আপাতত তিনি অন্তবর্তী জামিনে রয়েছেন। সেই জামিন খারিজ করার জন্য রাজ্য সরকার মঙ্গলবারই কলকাতা হাইর্কোটের দারস্থ হয়েছেন। ওই রশিদ শেখই ২৮ ওয়ার্ডের কংগ্রেসের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক। অধীর বলেন, “রাজ্যে ৭৩টি চিটফান্ড আছে। তবুও মুখ্যমন্ত্রী দিদিমণি সিবিআই তদন্তে নারাজ। ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা তিনি ফেরত দেবেন বলেছিলেন। তাও সাধারণ মানুষের করের টাকা থেকে। কিন্তু দিলেন মাত্র ৫০ কোটি টাকা। তিনি তো অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানদের নিয়ে জলসা করতে ব্যস্ত, তো সাধারণ মানুষের জন্য কি করবেন?” মুকুলের সভার আগের সন্ধ্যাতে ঠিক এই ভাবেই তেতে উঠেছে বহরমপুর। |