|
|
|
|
কম্পিউটার এ বার লাইসেন্স বিভাগে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এতদিন গাড়ির রেজিস্ট্রশন, পারমিট, কর আদায় সংক্রান্ত একাধিক বিভাগ কম্পিউটার চালিত হলেও লাইসেন্স বিভাগটি থেকে গিয়েছিল তার বাইরে। এ বার লাইসেন্স বিভাগেও কম্পিউটার চালুর পরিকল্পনা নিল পরিবহণ দফতর। রাজ্য পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহণ দফতরে সেই কাজ শুরু হয়ে গেল শুক্রবার। কয়েকদিনের মধ্যেই লাইসেন্স বিভাগটি কম্পিউটার চালিত হয়ে যাবে বলে পরিবহণ দফতর জানিয়েছে। মেদিনীপুরের জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি বলেন, “দ্রুত পরিবহণ দফতরের লাইসেন্স বিভাগটি কম্পিউটার চালিত করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পরিবহণ দফতরের একটিই অফিস ছিল। তা ছিল মেদিনীপুর শহরে, জেলা কালেক্টরেটের মধ্যেই। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুরে একটি করে অফিস খোলা হয়েছে। যদিও কর্মীর অভাবে সেখানে নিয়মিত অফিস খোলা হয় না। এখনই ওই ২টি অফিসে কম্পিউটার বসছে না। প্রথমে মেদিনীপুর অফিসেই কম্পিউটার বসানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাকি অফিসগুলিতেও কম্পিউটার বসানো হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর ফলে এক নজরে সমস্ত নথি এক জায়গায় দেখা যাবে। ফাইল ফাঁটার ঝামেলা মিটবে। লাইসেন্স পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের ছবি, আঙুলের ছাপ-সহ যাবতীয় নথি কম্পিউটারে থাকবে। হাতে লেখার ঝক্কিও আর থাকবে না। নতুন যাঁদের লাইসেন্স হবে তাঁদের নথি না হয় কম্পিউটারে মজুত রাখা যাবে। কিন্তু যাঁরা আগে তা করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবহণ দফতরের পরিকল্পনা রয়েছে পুরনো লক্ষাধিক লাইসেন্সের নথি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে কম্পিউটারে তোলার ব্যবস্থা করা হবে। আর তা হয়ে গেলেই বাক্স বন্দি করে লক্ষ-লক্ষ নথি রাখার আর প্রয়োজন থাকবে না।
জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন জেলায় একটিই অফিস ছিল তখন দিনে গড়ে প্রায় ১৫০-২০০ জন নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতেন। জেলায় ৩টি অফিস হওয়ার পর মেদিনীপুর অফিসে এখনও গড়ে ৪০-৪৫ জন নতুন লাইসেন্সের আবেদন করেন। কম্পিউটার চালিত হলে দফতরের পাশাপাশি আবেদনকারীদেরও অনেকটাই সুবিধে হবে। |
|
|
|
|
|