|
|
|
|
নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না
সিবিআই, মনে করালেন চিদম্বরম |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
সিবিআই খাঁচায় বন্ধ তোতা নয়, তবে সরকারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার তাদের নেই বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সিবিআইয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত আলোচনাসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। কাল প্রায় একই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
সিবিআইয়ের স্বাধীনতা ও এক্তিয়ার নিয়ে সাম্প্রতিক কালে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত করছে সিবিআই। ওই মামলায় তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ খতিয়ে দেখেছিলেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার। ওই রিপোর্ট দেখার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট বেঞ্চেরই। বিতর্কের জেরে অশ্বিনীকে পদত্যাগ করতে হয়। সিবিআই ‘খাঁচায় বন্দি তোতা’ বলে মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।
ওই মামলাতেই কুমারমঙ্গলম বিড়লার বিরুদ্ধে এফআইআর করা নিয়েও তীব্র বিতর্ক হয়েছে। বিড়লার সংস্থাকে কয়লাখনি দেওয়ার সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তাই বিতর্কে জড়ান তিনিও।
নানা শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সিবিআই এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে সরকারি নীতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে? আবার বিরোধীদের দাবি, সিবিআইকে ব্যবহার করে ইউপিএ সরকার তাঁদের হেনস্থা করছে। ঢাকা দিচ্ছে নিজেদের দুর্নীতি। সিবিআই হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’। এর জবাবে চিদম্বরম আজ বলেন, “সিবিআইকে খাঁচায় বন্ধ তোতা থেকে কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এমন অনেক কিছুই বলা হচ্ছে। সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্বাধীনতা পায়। সংকীর্ণ স্বার্থে এ সব কথা বলা হচ্ছে। তবে সরকারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার তাদের নেই।”
চিদম্বরম এই সূত্রে মনে করিয়ে দেন, সিবিআই প্রশাসনেরই অঙ্গ। তাই প্রশাসনের সাধারণ নীতি তাদের মেনে চলতে হবে।” অর্থমন্ত্রীর মতে, সম্প্রতি বেশ কিছু মামলায় যুক্তিসঙ্গত সরকারি সিদ্ধান্তকে ক্ষমতার অপব্যবহার বা অপরাধের তকমা দিয়েছে সিবিআই বা কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি ) মতো সংস্থা। কোনও সরকারি সিদ্ধান্তের পিছনে কী নীতি রয়েছে তা খোঁজা তদন্তকারী সংস্থার কাজ নয়। সেই নীতি ঠিক কি না তা -ও তাদের দেখার দরকার নেই। তদন্তকারীদের কেবল জানতে হবে, সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ কোনও কাজ করছে কি না। টুজি স্পেকট্রাম মামলায় স্পেকট্রাম বণ্টনের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিএজি। নীতির ভুলে রাজকোষের ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় তারা। তারও তদন্ত করছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সুবর্ণজয়ন্তী বছরেই। আইন পাশ করে সিবিআই তৈরি হয়নি। তাই তাদের তদন্ত করার অধিকার নেই বলে সম্প্রতি রায় দিয়েছে গৌহাটি হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট আপাতত তার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। অনেকের মতে, সিবিআই যে কেন্দ্রেরই নিয়ন্ত্রণে, এই পরিস্থিতিতে সেই বার্তা ফের দিতে চেয়েছেন চিদম্বরম। |
|
|
|
|
|