|
|
|
|
হত্যা মামলায় ২১ বছর পর যাবজ্জীবন ৫ দোষীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার পরে কেটে গিয়েছে ২১ বছর। নিম্ন আদালতে মুক্তি পেয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু গত কাল অভিযুক্তদের যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করল গৌহাটি হাইকোর্ট।
পুলিশের নথি অনুযায়ী, ১৯৯২ সালের ২৭ ডিসেম্বর জিৎ কাকতি নামে এক ব্যক্তি নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাইকে তুলে অপহরণ করে। ২৭ ডিসেম্বর গটঙা চা বাগানের লাগোয়া রেললাইনে মেয়েটির ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েটির ভাই পোশাক দেখে দেহটি শণাক্ত করে। দেহটি ৩০ টুকরো হয়ে গিয়েছিল।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গটঙা চা বাগানের ১৭ নম্বর বাংলোয় ওই মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, সেখানেই কাকতি ও তার সঙ্গীরা মেয়েটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। তারপর কুপিয়ে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে দিয়ে যায়। পুলিশ রক্তমাখা কুকরিটিও উদ্ধার করে।
কিন্তু ২০০৩ সালের ৩১ মে যোরহাট দায়রা আদালত প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় ও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে জিৎ কাকতি ও তার চার সঙ্গী —অঞ্জন শর্মা, ধ্রুবজ্যোতি ভুঁইয়া, অখিল বরদলৈ ও ফটিক দত্তকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। কাকতি, শর্মা ও ভুঁইয়া গটঙা বাগানের সহকারী ম্যানেজার। বরদলৈ বাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার। দত্ত ছিলেন কাকতির বন্ধু। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের তরফে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সেই মামলার রায় বের হয়েছে গত কাল। বিচারপতি কে শ্রীধর রাও ও বি ডি অগ্রবালের বেঞ্চ অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। তবে প্রমাণের অভাবে ধর্ষণের ব্যাপারে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখা হয়। |
|
|
|
|
|