|
|
|
|
অশান্তি মেঘালয়ে, সঙ্কটে উত্তর -পূর্বের জীবনরেখা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ঘন ঘন মেঘালয় বন্ধ এবং সড়ক অবরোধে বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা ও মিজোরামকে সঙ্কটের মুখে ফেলেছে। মেঘালয়ে প্রবেশের জন্য ‘ইনার লাইন পারমিট’ ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে গত সেপ্টেম্বর থেকেই আন্দোলন চলছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই পারমিট চালুর আর্জি জানিয়ে আজও নৈশ সড়ক অবরোধ ডেকেছে আন্দোলনকারী জোট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবারও অবরুদ্ধ থাকবে মেঘালয়ের উপর দিয়ে চলাচলকারী ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।
এই সড়কটিই অসমের বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা ও মিজোরামের ‘জীবনরেখা’। মণিপুরের যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণও আংশিক ভাবে এই পথের উপরেই নির্ভরশীল। এটি অবরুদ্ধ হলে চার -পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ চ্ছিন্ন হয়ে যায়। মেঘালয়ে লাগাতার অবরোধের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেমন বাড়ছে, তেমনই জরুরি প্রয়োজনেও মানুষ গুয়াহাটি বা অন্যত্র যেতে পারছেন না। অনেককে রাস্তায় আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মেঘালয়ের ‘ইনার লাইন পারমিট’ চালু হবে কি না তা নিয়ে এই সব অঞ্চলের মানুষের কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু তাদের দুশ্চিন্তায় রাখছে সে রাজ্যের বন্ধ ও সড়ক অবরোধ। সাধারণ মানুষের মতো সরকারি কর্তাও কম উদ্বিগ্ন নন। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার (শিলচর) এল কে দোলে জানান, লাগাতার বন্ধ বা সড়ক অবরোধ হলে বটলিংয়ের সমস্যা দেখা দেবে। দু’দিনের বেশি গ্যাসবাহী বুলেট -গাড়ি আটকে থাকলেই গ্রাহক সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
বিজেপি -র অসম রাজ্য কমিটি এ ভাবে জাতীয় সড়ক আটকে রাখার বিরোধী। রাজ্য সভাপতি সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “চার -পাঁচ রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগের এটিই একমাত্র সড়ক। তাতে এ ভাবে অবরোধ চলতে পারে না।” মেঘালয়ের ইনার লাইন পারমিটের দাবি নিয়ে অবশ্য তাঁর কোনও বক্তব্য নেই। একই ভাবে, ঘন ঘন বন্ধে যে সাধারণ মানুষ দিশেহারা, সে কথা জানিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম ফর জাস্টিস। তাদের দাবি, জাতীয় সড়কটি সারা বছর খোলা রাখা চাই। এখানে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত মেঘালয় সরকার ২৯ অগস্ট ইনার লাইন পারমিট চালুর দাবি খারিজ করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সে দিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, পারমিট ব্যবস্থা চালু হলে রাজ্য সম্পর্কে ভিন রাজ্যের মানুষের কাছে বাজে বার্তা যাবে। এর পরই শুরু হয়েছে অবরোধ, বন্ধের আন্দোলন। |
|
|
|
|
|