|
|
|
|
৫৩ দিন পর উদ্ধার অপহৃত বিদ্যুৎ -কর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অপহরণের ৫১ দিন পর উদ্ধার করা হল এনএইচপিসির জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার অগ্রবালকে। গত কাল রাতে অসম -অরুণাচল সীমানার মালদাং এলাকায় এনডিএফবি একটি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে অগ্রবালকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শোণিতপুরের এসপি -সহ চার পুলিশকর্মী জখম হন।
তাওয়াং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অগ্রবাল ২১ সেপ্টেম্বর গাড়িতে তাওয়াং থেকে তেজপুরের দিকে আসছিলেন। অসমের শোণিতপুর জেলার চারিদুয়ার থানা এলাকায় দু’টি বাইকে আসা চার দুষ্কৃতী গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে অপহরণ করে। গাড়ির চালক আসাম রাইফেল্স শিবিরে সেই সংবাদ জানাবার পরে পুলিশ -সেনা -আধা সেনা যৌথ ভাবে তল্লাশিতে নামে। জানা যায়, এনডিএফবি -র সংবিজিৎ গোষ্ঠী ঘটনায় জড়িত। সংবিজিৎ গোষ্ঠীর তরফে এনএইচপিসিকে চিঠি লিখে ও অগ্রবালের পরিবারকে ফোন করে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিবৃতি দিয়ে এই জঙ্গি গোষ্ঠী জানায়, নদীবাঁধ তৈরির বিরোধিতা করেই অগ্রবালকে অপহরণ করা হয়েছে।
এরপর দীর্ঘদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনী অগ্রবালের সন্ধান চালালেও তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। সন্দেহ করা হচ্ছিল, তাঁকে অরুণাচলের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ দিকে, অগ্রবালের পরিবার জঙ্গিদের সঙ্গে মুক্তিপণ দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা চালানোয় পুলিশের পক্ষে সাময়িকভাবে তল্লাশি অভিযান বন্ধ রাখার কথাও ঘোষণা করা হয়। তবে এরমধ্যেই অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে গাড়ির চালক ও বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অগ্রবালকে কোথায় রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার জন্য ধৃতদের ব্যবহার করে পুলিশ। সংবিজিৎ গোষ্ঠীর মধ্যেও ভাঙন ধরাতে সক্ষম হয় পুলিশ। জঙ্গি গোষ্ঠীর একাংশের কাছ থেকে খবর সংগ্রহ করে, গত কাল রাত ৯টা নাগাদ অসম পুলিশের এডিজি এ পি রাউত, ডিআইজি রামি শেট্টি, শোণিতপুরের এসপি অরবিন্দ কলিতা ও দরং -এর এসপি জিতমল দোলের নেতৃত্বে অসম ও অরুণাচল পুলিশের বিরাট দল চারিদুয়ার থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মালদাং পাহাড়ে হানা দেয়।
জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের অন্তত আধঘণ্টা গুলি, মর্টার ও গ্রেনেডের লড়াই চলে। পুলিশের দিক থেকে ৫০০ রাউন্ডেরও বেশি গুলি ও মর্টার ছোড়া হয়। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে এসপি অরবিন্দ কলিতা, এএসপি শিলাদিত্য শইকিয়া, এসআই রাজু দোরজি ও হাবিলদার সোমেশ্বর বরা জখম হন। সোমেশ্বরের আঘাত গুরুতর। পুলিশের দাবি জঙ্গিদের তরফেও বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে সেই সংখ্যা সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নয়। গুলির লড়াই চলার সময়ই জঙ্গিদের ঘাঁটি থেকে অগ্রবালকে বের করে আনা হয়। |
|
|
|
|
|