এ বার আবাসন শিল্পেও বিদেশি লগ্নির পথ সম্ভবত আরও প্রশস্ত করতে চলেছে কেন্দ্র। অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ার দরুন মার খাওয়া ওই শিল্পকে চাঙ্গা করতেই বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মকানুন শিথিল করতে চাইছে তারা।
বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, আসলে ভোটের মুখে আবাসন (রিয়েল এস্টেট) শিল্প ব্যবসায়ীদের খুশি করতেই এই পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকটি প্রস্তাব রয়েছে। যেমন l প্রথম শ্রেণীর শহরে বিদেশি লগ্নির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ‘বিল্ট আপ এরিয়া’ ৫০ হাজার থেকে কমিয়ে ২০ হাজার বর্গ মিটার করা।
• এখন কোনও ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ব্যবসা করলে মূলধন লগ্নি লাগে ৫০ লক্ষ ডলার। কিন্তু কোনও সংস্থার ১০০ শতাংশই বিদেশি পুঁজি হলে, ওই মূলধন হতে হয় এক কোটি ডলার। কিন্তু নতুন নিয়মে উভয় ক্ষেত্রেই তা ৫০ লক্ষ ডলার করার প্রস্তাব রয়েছে।
• শিথিল করা হতে পারে তিন বছরের ‘লক-ইন পিরিয়ড’ সংক্রান্ত নিয়মও। এখন প্রকল্পে টাকা ঢালার পর তার সঙ্গে অন্তত তিন বছর জুড়ে থাকতে হয় বিদেশি সংস্থাটিকে। কিন্তু নতুন নিয়মের প্রস্তাব মাফিক স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় (কাজ শেষ কিংবা তা বিক্রি হয়ে যাওয়ার) শংসাপত্র পেলে, সেই সময় মানার বাধ্যবাধকতা আর থাকবে না। এমনকী অন্য কেউ ‘লক ইন’-এর শর্ত মানতে রাজি থাকলে, প্রকল্প হাতবদলও করা যাবে। তবে তা করা যাবে এক বারই।
• এখন টাউনশিপ গড়ে আবাসনের প্লট তৈরির জন্য অন্তত ১০ হেক্টর জমিতে বিনিয়োগ করতে হয়। তা কমিয়ে ৫ হেক্টর করা হতে পারে। তবে রাজীব আবাস যোজনার মতো বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প এই সব নিয়ম বদলের বাইরেই থাকবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে আবাসন ও নির্মাণ শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০০% পর্যন্ত বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র থাকলেও, এ বিষয়ে বিভিন্ন শর্ত রয়েছে। এ বার সেই শর্ত শিথিল করেই ওই বিনিয়োগের পথ আরও প্রশস্ত করতে চাইছে কেন্দ্র।
বিশেষত তুলনায় ছোট মাপের প্রকল্পে। যাতে এ দেশের আবাসন শিল্পের (বিশেষত ছোট সংস্থা) এবং মধ্যবিত্তদের সুবিধা হবে বলেই বাণিজ্য মন্ত্রকের দাবি। |