চাষির থেকে সরাসরি ধান কিনতে এ বার উত্তর দিনাজপুর জেলার সব ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই সরকারি ধান কেনার শিবির করবে জেলা প্রশাসন। গত বছর জেলার ৯৮ পঞ্চায়েতের ৬৬টিতে ধান কেনার শিবির করেছিল প্রশাসন। এ বার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই শিবির করে কুইন্টাল প্রতি ১৩২০ টাকা দরে ধান কেনা হবে। এ বার কৃষকরা যে পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চাইবেন, তার পুরোটাই প্রশাসন কিনবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। গত বার এক এক জন চাষি ৬ কুইন্টাল করে ধান বিক্রি করেন।
প্রশাসন জানিয়েছে, কৃষকরা যাতে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য না হন, তা সুনিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রায়গঞ্জের জেলা পরিষদ ভবনে ধান কেনার পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি লাডলি চৌধুরী, জেলা খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক সমীর মণ্ডল, রাজ্য সরকার মনোনীত খাদ্য দফতরের প্রতিনিধি অসীম ঘোষ সহ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি ও একাধিক চালকলের মালিক বৈঠকে ছিলেন।
বৈঠকে স্থির হয়েছে, ২০ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ মাসের শেষ সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক করার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তিন জেলার আধিকারিকদের কাছ থেকে জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন, সরকারি কাজের অগ্রগতি ও চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। সে জন্যই প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা শুরু হয়।
জেলাশাসক বলেছেন, “সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার শিবিরের অভাবে চাষিরা যাতে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করে ক্ষতির মুখে না পড়েন, তা সুনিশ্চিত করতেই এ বছর বাড়তি কিছু পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” খাদ্য দফতরের প্রতিনিধি অসীমবাবু বলেন, “গত বছর বেশি সংখ্যক শিবির না হওয়ায় বহু চাষিকে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এবার জেলায় পর্যাপ্ত শিবির করে চাষিরা যত ধান বিক্রি করতে পারবেন, তাই কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” |