ভারী গাড়ি গেলে কেঁপে ওঠে সেতু। দু’দিকের মাটি ধসে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি। রায়গঞ্জের কুলিক সেতুর এমন বেহাল দশা হওয়ায় উদ্বিগ্ন উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। দু’দশকেরও বেশি সময় সংস্কার না হওয়ায় সেতুটি বেহাল ও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কুলিক পক্ষিনিবাস লাগোয়া নদীর উপর এই সেতু দিয়ে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও বালুরঘাট রুটের বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি চলে।
জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “আমি ছ’মাস আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে কুলিক সেতুটির সংস্কারের অনুরোধ করলেও কোনও কাজ হয়নি। সেতুটির বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও সময়ে তা ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি জানান, প্রশাসনের তরফে ফের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সেতু সংস্কার করার অনুরোধ করা হচ্ছে। জাতীয় সড়ক মালদহ বিভাগে প্রকল্প অধিকর্তা মহম্মদ সইফুল্লা বলেন, “কিছু দিনের মধ্যে রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা ৫০ কিমি জাতীয় সড়ক মেরামতি শুরু হচ্ছে। তখনই কুলিক সেতুর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
পক্ষিনিবাস সংলগ্ন সেতুর দু’ধারে মাটি ধসে তৈরি হওয়া ফুট দশেকের গর্তও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে কোনও সময়েই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গর্ত দিয়ে নদীতে পড়ে যেতে পারে। ফাটল ধরেছে সেতু আর রাস্তার দু’দিকের সংযোগস্থলে। বেড়েছে সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। সেতু সংস্কার না হলে বন্ধের হুমকি দিয়েছেন বাস মালিকেরাও। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী ও পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত সোম বলেন, “সেতুটি ভেঙে পড়লে সড়ক যোগাযোগ, পণ্য আনা নেওয়ার কাজ থমকে যাবে। দুর্গাপুজোর আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে রাস্তা ও সেতুটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছি।” |