সেতুর দাবিতে ৮ ঘন্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল ১০টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা। স্থানীয় কয়েকটি স্কুলের হাজার খানেক ছাত্রছাত্রী স্কুলে না গিয়ে অবরোধে সামিল হন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ইংরেজবাজার থানার ন’ঘরিয়া গ্রামের কাছে মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কে ওই অবরোধে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। অবরোধ তুলতে গিয়ে অবরোধকারীদের হাতে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও ছিলেন ইংরেজবাজার বিডিও ও জেলা পরিষদে সহকারী বাস্তুকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী জেলা পরিষদ ও সাংসদ কোটার টাকায় সেতু তৈরির আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। |
অবরোধে গাড়ি আটকে পড়ায় অসুবিধায় রোগীর পরিবার।—নিজস্ব চিত্র। |
এলাকার কৈরিটোলা, ভগবানপুর, নঘরিয়া, ফুলবাড়িয়া-সহ ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, মরা কালিন্দ্রী নদীর উপর সেতু তৈরির। বাসিন্দারা জানান, গত বিধানসভা ভোটে আগে রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছর পরেও সেতু না হওয়ায় গ্রামগুলিতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মন্ত্রী সাবিত্রী দেবী বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ৮ কোটি টাকা দিয়ে সেতু তৈরির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। তাড়াতাড়ি যাতে সেতুটি হয় তা দেখছি।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরীকে কটাক্ষ করে মন্ত্রীর বক্তব্য, “রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য স্থানীয় মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।”
সাবিত্রী দেবীকেও পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “কে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আর কী হয়েছে তা তো দেখাই যাচ্ছে। এলাকায় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল মানুষের ভোট নিয়েছে। পরে ভুলে গিয়েছে। জেলা পরিষদ এবং সাংসদ কোটার টাকা দিয়ে সেতু হবে।” আর জেলা পরিষদে অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক অমলকান্তি রায় জানান, এত বড় সেতু জেলা পরিষদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। মন্ত্রী সাবিত্রী দেবী উন্নয়ন পর্ষদ থেকে প্রকল্পটি অনুমোদন করিয়েছেন। যাতে দ্রুত ওই সেতুর কাজ শুরু করা যায় তা আমরা দেখছি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গরম কালে মরা মহানন্দা নদী পেরিয়ে ১০-১২টি গ্রামের মানুষ কালিন্দ্রী নদী টপকে যাতায়াত করেন। বর্ষা কালে তা করা যায় না। এই সেতু তৈরি হলে নরহাট্টা থেকে অমৃতি সরাসরি সড়ক যোগাযোগ হয়ে যাবে। সেতু না থাকায় ১০-১২ গ্রামের মানুষ ৬ কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। |