এক অন্তঃসত্ত্বা বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে সিউড়ি সদর হাসপাতালের ঘটনা। রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘটনার তদন্তের করে ওই কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সুপার অসিত বিশ্বাস বলেন, “ওই অন্তঃসত্ত্বা বধূ তাঁর রুটিন চেকআপে এসেছিলেন। এক অস্থায়ী কর্মী তাঁকে পিপি ইউনিটের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন জানিয়ে ওই বধূ একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে নার্সিং সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক কমিটি গড়ে ঘটনার তদন্ত করানো হয়। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডলকেও অসিতবাবু একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। কার্তিকবাবু জানিয়েছেন, রিপোর্ট পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন হাসপাতালের পিপি ইউনিটে অন্তঃসত্ত্বা বধূদের কাউন্সেলিং ছিল। অন্যান্যদের মতো ওই বধূও নিজের কাউন্সেলিং করাতে পৌঁছেছিলেন।
নিয়ম মতো এক জন টেকনিসিয়ানকে নিয়ে কাউন্সিলর রোগীদের কাউন্সেলিং করেন। কিন্তু এ দিন কোনও টেকনিসিয়ান ছিলেন না। ডেপুটি সিএমওএইচ (২)-এর অধীনে কর্মরত, অভিযুক্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীই কাউন্সেলিংয়ের কাজ করছিলেন। অভিযোগকারিণীর দাবি, কাউন্সেলিংয়ের সময়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। অভিযোগ পেয়েই অসিতবাবু হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট, ডেপুটি নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং পিপি ইউনিটের এক কর্মীকে নিয়ে এক তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ওই কমিটি হাসপাতাল সুপারকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে সূত্রের খবর। ওই বধূ অবশ্য এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। |