শিশু-মৃত্যু
তদন্ত চায় মানবাধিকার কমিশন
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার গভীর রাতে সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। সংবাদমাধ্যমে ওই ঘটনার কথা জেনে কমিশনের চেয়ারম্যান তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় ও সদস্য, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব সৌরীন রায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সোমবার এই নির্দেশ দেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও অভিজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। দু’সপ্তাহের মধ্যে নিজের মন্তব্য-সহ স্বাস্থ্যসচিবকে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত।
শনিবার হাসপাতালে পৌঁছে শতাব্দী ঘোষ নামে এক আসন্ন প্রসূতি আয়াদের জানিয়েছিলেন লেবার রুম পর্যন্ত হাঁটার ক্ষমতা নেই তাঁর। কিন্তু ট্রলির অভাবে তাঁকে ওয়ার্ড থেকে হাঁটিয়ে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে অভিযোগ, করিডরেই প্রসব হয়ে যায় ওই মহিলার এবং মাটিতে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের।
এ দিকে, সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারল না স্বাস্থ্যদফতরের উচ্চপর্যায়ের কমিটি। চিকিৎসায় গাফিলতির গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকমিটি গঠিত হয়। শনিবার বিকেল ৪টে থেকে কাজ শুরু করে ওই কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কিন্তু সোমবার বিকেল চারটের পরেও জমা পড়েনি তা। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান তথা স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব পার্থজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মাঝখানে রবিবার পড়ে যাওয়ায় দেরি হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। তদন্তে কোনও রকম ফাঁক রাখা হচ্ছে না। মঙ্গলবার রিপোর্ট জমা হয়ে যাবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.