কবেই শেষ হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শৌচাগার তৈরির কাজ। কিন্তু বন্ধ তালা খোলা হয়নি। তাই দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে এসে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা শৌচাগারের দরজা বন্ধ দেখে সমস্যায় পড়ছেন। একটি কিংবা দু’টি নয়, পুরুলিয়া জেলার বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক ছবি। অথচ জেলা স্বাস্থ্য দফতর ওই দরজা খোলার উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগীদের মধ্যে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসা করাতে এসে রোগী ও তাঁর পরিজনেরা যাতে প্রয়োজনে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই জেলার কয়েকটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুলভ শৌচাগার তৈরি করা হয়। কোনওটা এক বছর আগে, কোনওটা বা তারও আগে নির্মাণ হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু তা স্বাস্থ্য দফতরকে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে নির্মাণের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হতে বসেছে বলে অভিযোগ।
দক্ষিণ পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ও ২ ব্লক এবং পুঞ্চা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে সুলভ শৌচগার তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর ওগুলি নির্মাণ করেনি। ব্লক মেডিক্যাল আধিকারিকরা হয়তো এ ব্যাপারে বলতে পারবেন।” মানবাজারের বিএমওএইচ সুরজিৎ সিং হাঁসদা জানান, তাঁর কাছেও এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। তিনি বলেনস “বছর তিনেক আগে পঞ্চায়েত সমিতি শৌচাগার নির্মাণের জন্য জায়গ চেয়েছিল। আমরা জায়গা চিহ্নিত করে দিই। পুরুলিয়ার একটি এজেন্সি নির্মাণ কাজ করে। শুনেছিলাম তারাই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মী নিয়োগ করবে। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে স্বল্প খরচ নেওয়ার কথা। কিন্তু তা তো চালু হল না।”
মানবাজার ২ বিডিও পার্থ কর্মকার বলেন, “বারি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ রকম একটি শৌচাগার রয়েছে। মনে হয় জেলা পরিষদের টাকায় তা তৈরি হয়েছিল। তাড়াতাড়ি চালু করার চেষ্টা চলছে।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামকিঙ্কর হাঁসদা বলেন, “শৌচালয়ে জলের সংযোগ নেই। বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ দিয়ে চালু করার চেষ্টা চলছে।” পুঞ্চার বিএমওএইচ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে ওই শৌচাগারে জল ও বিদ্যুতের সংযোগ নেই। তাই চালু করা যায়নি।” পুরুলিয়ার সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো বলেন, “জেলা পরিষদের কোন খাত থেকে এ ধরনের শৌচাগার তৈরির টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, কোথায় কতগুলি এ ধরনের নির্মাণ রয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখব।” |