ধুলিয়ানের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরেই রবিবার রাতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সে রাতেই হাজি আকতার হোসেন (৪৮) নামে স্থানীয় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের ওই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে, কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যু নিছকই পথ দুর্ঘটনা নয়। খুন করা হয়েছে তাঁকে, এই দাবিতে সোমবার সকাল থেকে আকতারের দেহ আঁকড়ে সমশেরগঞ্জের কাছে অবরোধ শুরু করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। আর তার জেরেই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের এক মাত্র ওই সড়কে যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। এ দিন সকাল থেকে দফায় দফায় প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক ধরে চলে অবরোধ। কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতার সামনে বার কয়েক পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। |
পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখে শেষ পর্যন্ত লাঠি চালায় পুলিশ। পরে কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে। পুলিশ জানায় গ্রামবাসীদের ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “বহরমপুর জেলা হাসপাতালে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।” তবে, এ দিন বিকেলেও ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |