হাইকোর্টে গেলেন মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৮ কাউন্সিলর |
নির্বাচন কমিশন মুর্শিদাবাদ পুরসভায় অনাস্থা সভা বাতিল ঘোষণা করায় হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছে কংগ্রেসের তিন জন-সহ আট কাউন্সিলর। ৭ নভেম্বর তাঁরা হাইকোর্টে মামলা করেন। কাউন্সিলরদের পক্ষে আইনজীবী পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে আগামী ১৩ নভেম্বর ওই মামলার শুনানি হবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্দেশে সভা বাতিল না করে স্থগিত রাখা উচিত ছিল। পুরপ্রধান তা করেননি। তাই হাইকোর্টের দারস্থ হওয়া।” প্রসঙ্গত, ২২ অক্টোবর পুরপ্রধান কংগ্রেসের শম্ভুনাথ ঘোষের অপসারণ চেয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি জমা পড়ে পুরসভায়। চিঠিতে কংগ্রেস কাউন্সিলর মেহেদি আলম মির্জা, সাইদা বিবি ও তপন মণ্ডল-সহ আট জনের সই রয়েছে। কিন্তু পুরসভায় উপনির্বাচন থাকায় অনাস্থা সভা করতে নিষেধ করা হয়। পুরপ্রধান বলেন, “রাজ্য নির্বাচনী কমিশনের ওই চিঠির উল্লেখ করে ওই অনাস্থার সভা বাতিলের কথা কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিই।” তার বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই আট জন। পুরপ্রধানের পক্ষে আইনজীবী প্রবাল সরকার বলেন, “ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির দিনই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। ফলে ওই চিঠিই অবৈধ।”
|
সন্ধান নেই শিক্ষক এবং অসুস্থ বৃদ্ধের |
প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এক অসুস্থ বৃদ্ধকে শনিবার থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। আব্দুল মান্নান মল্লিক নামে ওই শিক্ষককে শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ শেষ দেখা গিয়েছে বহরমপুর শহরের ফৌজদারি কোর্ট চত্বরে। বাড়ি রেজিনগর থানার তকিপুর গ্রামে। তিন লক্ষ টাকা-সহ তিনি নিখোঁজ বলে তাঁর পরিবারের দাবি। মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্র চক্রবর্তী বলে, “নিখোঁজ ওই শিক্ষকের হদিস পাওয়ার চেষ্টা চলছে।” নিখোঁজ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ মহাসিন শেখও। বাড়ি মুর্শিদাবাদ থানার এলাহিগঞ্জ গ্রামে। শুক্রবার ছাদ থেকে পড়ে তাঁর কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছে। শনিবার দুপুরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই তাঁর। তবু তাঁকে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মহাসিন শেখের খোঁজ পেতে পুলিশ বিভিন্ন নাসির্ংহোমে তল্লাশি শুরু করেছে।” মণিময়বাবু বলেন,“সম্ভবত ভিজিটিং আওয়ারের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন।”
|
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ |
এবার শান্তিপুর পুর সভার তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলেন। সোমবার কংগ্রেস কাউন্সিলর অশোক ঘোষ, শ্যামাপ্রসাদ খাঁ ও সুব্রত ঘোষ কলকাতার নিজাম প্যালেসে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক মুকল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “শান্তিপুরের তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর আমাদের দলে যোগ এসেছেন। দিন কয়েকের মধ্যেই গোটা শান্তিপুর পুরসভাই আমাদের দখলে আসবে।” পাঁচ বারের কাউন্সিলর অশোকবাবু দলবদলের পর বলেন, ‘‘পুরসভার উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল। উন্নতির স্বার্থেই আমরা তৃণমূলে নাম যোগ দিলাম।” শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান তথা এলাকার বিধায়ক কংগ্রেসের অজয় দে-র সাফ কথা “আমাদের কোনও কাউন্সিলরের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা আমার জানা নেই।” এর আগে বীরনগর, কৃষ্ণনগর ও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর সিংহের খাস তালুক বলে পরিচিত কুপার্সের কংগ্রেস কাউন্সিলরা শাসকদলে যোগ দেন। |