|
|
|
|
ভোটের মুখে প্রয়াত বিদায়ী উপপুরপ্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
প্রয়াত হলেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার উপপুরপ্রধান তথা সিপিআই নেতা প্রদীপ মৈত্র (৫৮)। রবিবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা -স্টেশন পাড়ার বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। সিপিআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপবাবু ঝাড়গ্রামে ‘ছাঁচি’ নামে সুপরিচিত ছিলেন। ’৮৮, ’৯৩ ও ২০০৮ সালে তিনবার ঝাড়গ্রাম পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন প্রদীপবাবু। তিন দফায় ১৫ বছর ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এ বার চতুর্থবারের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রদীপবাবু। নিজের ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এবার তিনি অন্য ওয়ার্ডে (নতুন ৭ নম্বর) দাঁড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রদীপবাবু। সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি -র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক ছিলেন তিনি। প্রদীপবাবু প্রয়াত হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ পুর নির্বাচন আইনের ৫৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি না -করা পর্যন্ত ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন আপাতত স্থগিত থাকছে।
সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল থেকে প্রদীপবাবুর মরদেহ শোক -মিছিল করে স্থানীয় এআইটিইউসি এবং সিপিআইয়ের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রয়াত দলীয় নেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে ঝাড়গ্রামে আসেন এআইটিইউসি’র রাজ্য সম্পাদক রঞ্জিত গুহ, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা প্রমুখ। ঝাড়গ্রাম পুরসভার সামনেও প্রদীপবাবুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানান সিপিএমের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার, পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক হরিসাধন ঘোষ, বর্তমান ও প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং পুরকর্মীরা। বিকালে বাছুরডোবা শ্মশানে প্রদীপবাবুর শেষকৃত্য হয়।
এদিন ঝাড়গ্রামে প্রচারসভায় এসে প্রদীপবাবুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। |
|
|
|
|
|