|
|
|
|
আর দিন ৬ |
আশঙ্কায় যুবরাজ-হরভজন |
সচিনই ক্রিকেট, না থাকলে খেলাটা কেমন থাকবে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
‘‘অপেক্ষা করো, আমরা আসছি!’’ শেষ টেস্টে তাঁকে বিদায় জানাতে মুম্বইয়ে হাজির থাকার কথা বলছেন এমন দু’জন যাঁদের কাছে গুরু, বড়দা, আবার প্রাণের বন্ধু এক জনই সচিন তেন্ডুলকর। যাঁদের এক জন বলছেন, “জানি না সচিনের পর ক্রিকেট কেমন হবে! আমার কাছে ক্রিকেট মানেই সচিন পাজি।” অন্য জন বলছেন, “সচিনের এই বিশেষ সময়ে ওর সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে না পারাটা হতাশার। তবু আশা করছি ওকে বিদায় জানাতে মাঠে থাকতে পারব।” প্রথম জন হরভজন সিংহ। দ্বিতীয় জন যুবরাজ সিংহ।
সিএনএন-আইবিএন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে দুই তারকা ক্রিকেটার ওয়াংখেড়ে টেস্টের দলে না থাকার হতাশা গোপন করার চেষ্টা করেননি। যুবরাজের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি হরভজনের গলাতেও। জলন্ধরের স্পিনার বলেন, “যুবরাজের মতো আমারও খারাপ লাগছে ড্রেসিংরুমে সচিনকে একটা ‘বিগ হাগ’ দিতে না পেরে। আইপিএলে একই টিমে থাকলেও বুঝতে পারেনি মুহূর্তটা এত দ্রুত আসবে। ভেবেছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর অবসর নেবে।” |
|
সচিনের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার কথা উঠলে যুবরাজ বলেন, “প্রথম ওকে ব্যাট করতে দেখি যখন ওর বয়স এগারো। কোন টুর্নামেন্ট মনে নেই। আমার বয়স তখন তিন-চার হবে। তবু মনে আছে, দু’টো কভার ড্রাইভ মেরেছিল।” যুবরাজ আরও যোগ করেন, “টেকনিক্যালি এত নিখুঁত ব্যাটসম্যান দেখিনি। অনেকে আমার ব্যাটিং নিয়ে অনেক উপদেশ দেয়। তবে সচিনের সঙ্গেই একমাত্র নিজের ব্যাটিং নিয়ে কথা বলি। ওর কথাই শুধু শুনি।” আর হরভজন বলেন, “মোহালিতে আমার ডাক পড়েছিল ভারতীয় টিমকে বল করার জন্য। তখন জলন্ধরের স্পিনারদের মধ্যে একমাত্র আমিই ‘দুসরা’ দিতে পারতাম। প্রথম দিন সচিনকে বল করতে পারিনি। তবে আমার বোলিং দেখার জন্য সচিন বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। দেখার পর বলেছিল এ ভাবেই পরিশ্রম করে যাও।”
২০১১ বিশ্বকাপ জিতে সচিনকে কাঁধে নিয়ে ওয়াংখেড়ে ঘোরার ছবিটা ইতিহাসে তোলা আছে। হরভজনের কাছে সেটা কেরিয়ারের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত। ‘টাবুর্নেটর’ বলেন, “যে লোকটা এত বছর ধরে ভারতীয় দলে এত চাপ সামলেছে তাঁকে কাঁধে নিয়ে মাঠে ঘোরার স্মৃতিটা কখনও ভুলব না।” যুবরাজ আবার ভুলতে পারছেন না তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসার পর লন্ডনে সচিনের সঙ্গে দেখা হওয়ার সময়টা। বলেন, “আমাকে ক্যানসারের চিকিৎসা পর যখন দেখতে এসেছিল ভেবেছিলাম ওই অবস্থায় আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়বে। কিন্তু উল্টে আমাকেই হাসিয়ে তুলেছিল। খুব আনন্দ হয়েছিল ওই সময় দেখে।”
গোটা বিশ্ব তেন্ডুলকরের ব্যাটিংয়ের দাপটে মুগ্ধ হলেও হরভজনের কাছে কিংবদন্তি মুম্বইকর দারুণ একজন স্পিনারও। “সচিন অসাধারণ স্পিনার। লেগস্পিনার হিসেবে ও যতটা বল স্পিন করাতে পারে, সত্যিই ভাবা যায় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুশোটা উইকেটই সেটা প্রমাণ করে।”
অবসরের পর সচিনকে কী ভাবে দেখতে চান? দুই তারকা ক্রিকেটারের গলায় প্রায় একই সুর। যুবরাজ বলেন, “অবসরের পর আমি চাই ও জীবনটা চুটিয়ে উপভোগ করুক।” হরভজন বলেন, “ এত বছর ধরে ও প্রচুর চাপ বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। অবসরের পর সেই চাপ থাকবে না। আমি চাই সচিন তখন ভীষণ, ভীষণ আনন্দে থাকুক।” |
|
|
|
|
|