কোথাও মন্দির কোথাও মান্না, পুজো জমজমাট |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কেউ মণ্ডপ সাজিয়েছেন মন্দিরের আদলে, কেউ আবার পুজোয় স্মরণ করছেন সদ্যপ্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে-কে। জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে এ ভাবেই মেতে উঠেছে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল।
আসানসোলে মহিশীলা বটতলা বাজার এলাকায় দেশবন্ধু ক্লাবের সর্বজনীন পুজোর এ বার ১৮তম বর্ষ। নারকেল গাছের পাতা, দড়ি-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছের মণ্ডপ। পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছে। উদ্যোক্তারা জানান, এ বার মূল আকর্ষণ মান্না দে-কে নিয়ে স্থানীয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান। সেনর্যালে প্রগতি সঙ্ঘের উদ্যোগে সর্বজনীন পুজো এ বার ১৯তম বর্ষে পা দিল। সেখানে মণ্ডপ হয়েছে বিশাল মন্দিরের আদলে। সঙ্গে রয়েছে মেলা। বরাকর নদীর ধারে জমে উঠেছে বরাকর সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোও। বার্নপুরের রাধানগর রোডের রামকৃষ্ণ পূর্ণানন্দ মঠের জগদ্ধাত্রী পুজোয় দিনভর পঙ্ক্তিভোজের ব্যবস্থা হয়েছে। |
|
জামুড়িয়া চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। |
উখড়ার পুরনো হাটতলায় একতা ক্লাবের পরিচালনায় সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো ২৪ বছরে পা দিল। এ বার সেখানে সবুজ রঙের ডাকের সাজের প্রতিমা। এখানে পুজো শুরু হয় নবমীর দিন। পুজোকর্তারা জানান, এলাকাবাসীর চাহিদা মেটাতেই ১৯৯০ সালে তাঁরা এই পুজো শুরু করেন। উখড়ার শিল্পপতি বলরাম দে-র বাড়ির পুজোও বহু পুরনো। |
|
মহিশীলায় বটতলা বাজারের মণ্ডপ। |
জামুরিয়ার নন্ডি গ্রামে চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো ৩৪৫ বছর পেরোল। স্বপ্নাদেশে এই পুজো শুরু হয়েছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যেরা।
বেশ কিছু বড় জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে মাতোয়ারা দুর্গাপুরও। ইস্পাতনগরীর মোড়ে মোড়ে পুজো হচ্ছে। শরৎচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের রবীন্দ্র সঙ্ঘ, জয়দেব অ্যাভিনিউয়ের জাগরণী সঙ্ঘ, বিদ্যাপতি রোডে তরুণ উদয় সঙ্ঘের পুজো এলাকায় বড় আকর্ষণ। |
|
দুর্গাপুরে বিদ্যাপতি রোডে আলোকসজ্জা। |
আইনস্টাইন রোডে সুপার ক্যাট ক্লাব, তিলক রোডে তিলক ইউনাইটেড ক্লাব ও এডিশন রোডে বন্ধু সবাই ক্লাবের পুজোও বেশ জনপ্রিয়। শহরের অধিকাংশ জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপই গড়া হয়েছে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে।
|
সোমবারের নিজস্ব চিত্র। |
|