প্রদেশ কংগ্রেসের হাল দেখতে আসবেন জোশী, আশ্বাস দিল্লির
প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের মানভঞ্জনে এ বার মাঠে নামলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। দিল্লির আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের আশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশী শীঘ্রই এ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলে, ডিসেম্বর থেকেই তিনি কাজ শুরু করবেন। তার আগে পর্যন্ত এআইসিসি-র সম্পাদক শাকিল আহমেদ খানকে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের শেষ হচ্ছে দিল্লির ভোটগ্রহণের মধ্যে দিয়ে, ৪ ডিসেম্বর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সি পি জোশী জানিয়েছেন, ৪ তারিখের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো রাজ্যগুলিতে নজর দেবেন।” জোশীর অনুপস্থিতিতে এআইসিসি-র সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের সমন্বয়ের অভাব নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছিল। যদিও প্রদীপবাবুর দাবি, “আমরা জানি জোশী রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি শাকিল আহমেদ খানকে বারবার পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়েছেন। শাকিল ৩০ থেকে ৪০ বার রাজ্যে এসেছেন। বহু জায়গায় ঘুরেছেন। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিদিন তিনি টেলিফোনে যোগাযোগও রাখছেন।”
প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনের দু’বছর পরে তৃণমূল-সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সিপিএম তার ফায়দা তুলতে পারেনি। কারণ মানুষ তৃণমূলের বদলে এখনও সিপিএমকে মেনে নিতে রাজি নন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সামনে সেই রাজনৈতিক পরিসর দখলের একটা সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস কতখানি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাবে, তা নিয়ে এখনও রাজ্যের নেতারা দিশাহীন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে আসন সমঝোতা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভোটের পরে দিল্লিতে সরকার গড়তে তৃণমূলের সাহায্য দরকার হতে পারে ভেবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আপাতত বন্ধ রাখা উচিত কি না, তা-ও বুঝতে পারছেন না রাজ্য নেতারা। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা এআইসিসি-র কাছেই পথনির্দেশ চাইছেন।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা দাবি করছেন, রাজ্য সরকারের অন্দরমহলে দুর্নীতি-চক্র বাসা বাঁধছে। সেটা যখনই প্রকাশ্যে আসবে, তখনই রাজ্যের রাজনৈতিক ছবিটা বদলাতে শুরু করবে। কিন্তু যেখানে তৃণমূলের দাপটের সামনে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি কমছে, কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, সেখানে কংগ্রেস কী ভাবে রাজনৈতিক পরিসর দখল করবে? প্রদীপবাবুর যুক্তি, “আমি জানি কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের অত্যাচারে, ভয়ে এবং অর্থের লোভে কংগ্রেসের অনেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। সাতাত্তর সালে বামফ্রন্টের রাজত্ব কায়েম হওয়ার পর একটা বড় ভাঙন হয়েছিল। আমরা সেটার মোকাবিলা করেছিলাম। আবারও দলে ভাঙন ধরছে তৃণমূলের ঘৃণ্য রাজনীতির জন্য।” কী সেই ঘৃণ্য রাজনীতি? প্রদীপের অভিযোগ, পূজালী পুরসভায় কংগ্রেস বোর্ড গঠন করেছে। সেখানে বোর্ডের চেয়ারম্যান ফজলুল হককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তিনি কংগ্রেস না ছাড়লে পুরসভা এলাকায় গার্ডেনরিচ থেকে পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফজলুল বেআইনি কাজ করেছেন বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু দলের ভাঙন কংগ্রেস সামলাবে কী করে? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির যুক্তি, “ভাঙন ধরছে। কিন্তু সেটা সাময়িক। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের জন্য ক্ষতি হবে না। সাময়িক ধাক্কা লাগতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে কোনও ক্ষতি হবে না।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.