ফের উত্তপ্ত কামদুনি। অভিযোগ, শনিবার কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতিকে মারধর করেছেন স্থানীয় শান্তিরক্ষা কমিটির সম্পাদক-সহ তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ উড়িয়ে ওই নেতাদের পাল্টা দাবি, প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরাই তাঁদের উপরে হামলা চালিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় কামদুনিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন অভিনেতা জর্জ বেকার। পুজো উদ্বোধনের পরে মৌসুমী এবং টুম্পা কয়ালের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন জর্জ। স্থানীয়রা তাঁকে জানান, টুম্পা এখন গ্রামে নেই, মৌসুমী আছেন। কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ভাস্কর মণ্ডল জর্জকে নিয়ে যান মৌসুমীর বাড়িতে।
অভিযোগ, এর কিছু পরেই ভাস্করের উপরে চড়াও হন তৃণমূলের গ্রাম কমিটির সভাপতি তথা শান্তিরক্ষা কমিটির সম্পাদক সোনা ঘোষ, গ্রাম কমিটির সম্পাদক গৌতম নস্কর, অবিনাশ মণ্ডল-সহ কয়েক জন। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ভাস্করকে কামদুনি স্কুলের মাঠের দিকে টেনে নিয়ে মারধর ও অস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। শেষে কয়েক জন গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে আনেন।
সোনা-গৌতমরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, বিনা প্ররোচনায় হামলা হয়েছে তাঁদেরই উপরে। সোনার বক্তব্য, “গ্রামের পুজো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এই সুযোগে সুটিয়া (বরুণ বিশ্বাসের গ্রাম) আর দমদম থেকে লোক এনে প্রতিবাদী মঞ্চের সমর্থকরা আমার উপরে হামলা চালায়।” গৌতম নস্করেরও দাবি, তাঁর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তিনি বলেন, “আক্রমণে আমার স্ত্রীও জখম হয়।”
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেছেন, “কোনও পক্ষ এখনও অভিযোগ করেনি। তাই কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিরাট পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে।”
প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদক মৌসুমী পরে বলেন, “কেউ যদি আমার বাড়িতে আসতে চান এবং তাঁকে যদি কেউ আমার বাড়ি চিনিয়ে দেন, তার জন্য মারার কী আছে?”
|